রিজভীর বক্তব্য বোগাস, বললেন ডিএমপি কমিশনার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:১২:৫৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী শিবিরের সদস্য বলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী যে বক্তব্য গণমাধ্যমে দিয়েছেন, তা সত্য নয়। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
ডিএমপি কমিশনারকে উদ্দিষ্ট করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আজ একটি বক্তব্য দিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি শুনেছি, এটি বোগাস কথাবার্তা। এটি ভুয়া, আমি এমন কোনো বক্তব্য দিইনি। ইতোমধ্যে একটি রিজন্ডার জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এআই দিয়ে তৈরি করা একটি ছবি প্রচার করা হয়েছে, সেটি দেখেই তিনি ডিএমপি কমিশনারের বরাতে বোগাস তথ্য ছড়িয়েছেন।
এর আগে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, আজ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন হত্যাকারী শনাক্ত হয়েছে এবং সে শিবিরের সদস্য। এখন আমি বলছি, এটি বিএনপির কোনো নেতার বক্তব্য নয়; যারা এটি বলছে তারা রাষ্ট্রের আইনের স্বীকৃত তদন্তকারী কর্মকর্তা। ফেসবুকে কী লেখা হবে, আমি সেই ছাত্রনেতাকে জিজ্ঞেস করতে চাই।
রিজভী বলেন, তদন্ত হয়নি, কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হয়নি। এই এলাকায় বারবার আসেন মেয়র, তার সামাজিক ও জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থান বিবেচনা না করেই কেবল একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা হয়েছেন। আপনার চেয়ে ৩৬ বছর আগে আমরা ছাত্রনেতা ছিলাম, আরেকটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি হলেও কখনো অন্য দলের সিনিয়র নেতাকে এভাবে অপমান করিনি। কিন্তু এখন এটি ঘটেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হামলাকারী জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রনেতা তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই মির্জা আব্বাসের নাম উল্লেখ করেছেন।
রিজভী বলেন, শুধু একটি প্রশ্নই করব- ঘটনার এক ঘণ্টা পর ফেসবুকে একটি পক্ষ মির্জা আব্বাসকে গ্যাংস্টার বলে আক্রমণ করেছে। এক ঘণ্টা পরেও ‘ঠাকুর ঘরে কেড়ে, আমি কলা খাইনি’- তাদের ওপর কোনো হামলা হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, হাদির ওপর হামলাকারী আগে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়া দেখা গেছে, সে সাদিক কায়েমের সঙ্গে একই টেবিলে বসে চা খাচ্ছিল। তিনি বলেন, যারা ১৯৭১ সালে গণহত্যা ও মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে, তাদের কাছে বিবেকবোধের কোনো অস্তিত্ব নেই।



