সর্বোচ্চ তিন আসনে একজন প্রার্থী হতে পারবেন: ইসির পরিপত্র
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৫৯:২৭ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির বেশি নির্বাচনি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
এর বেশি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সব মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।
গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর ১৩ক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি একই সময়ে তিনটির অধিক নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থী হলে তার সব মনোনয়নপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।’ একই পরিপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রীয় লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্র বা সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনো প্রতিষ্ঠানে সার্বক্ষণিক পদে কর্মরত থাকলে সেটিকে লাভজনক পদ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং ওইসব ব্যক্তি নির্বাচনে অযোগ্য হবেন।
এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত দপ্তর, প্রতিষ্ঠান, করপোরেশন বা কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের প্রার্থী হতে হলে বিধি অনুযায়ী পদত্যাগ করতে হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্বাচনি ব্যয় ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে পরিপত্রে বলা হয়েছে, ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’-এর ৪৪খ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রত্যেক নির্বাচনি এজেন্টকে (বা এজেন্ট না থাকলে প্রার্থীকে নিজে) তফসিলি ব্যাংকে একটি পৃথক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। ব্যক্তিগত ব্যয় ব্যতীত নির্বাচন-সংক্রান্ত সব ব্যয় ওই অ্যাকাউন্ট থেকেই পরিশোধ করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, ২০২৫ অনুযায়ী মনোনয়নপত্রের সঙ্গে ফরম-২০-এ নির্বাচনি ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী এবং ফরম-২১-এ প্রার্থীর সম্পদ, দায়-দেনা ও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী দাখিল করাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ⤵
পরিপত্রে আরও জানানো হয়, নির্ধারিত তারিখ ও সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের নিকট প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী কর্তৃক সরাসরি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা মহানগরীর নির্বাচনি এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট মহানগরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য নির্বাচনি এলাকায় জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাধ্যতামূলকভাবে ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পরিপত্রে বলা হয়েছে, নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তারা ছবিসহ ভোটার তালিকা ব্যবহার করবেন। তবে প্রার্থী, নির্বাচনি এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টরা ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি সংগ্রহ করে মুদ্রণ করে ব্যবহার করতে পারবেন।
অন্যদিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের পুনঃনির্ধারিত সীমানার সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পূর্বে প্রকাশিত সীমানা পুনঃনির্ধারণের তালিকা আংশিক সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনের ফলে বাগেরহাট জেলায় একটি আসন বৃদ্ধি এবং গাজীপুর জেলা থেকে একটি আসন কমানো হয়েছে। সংশোধনের পর মোট ৩০০ আসনের হালনাগাদ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।



