দেশে আসা প্রসঙ্গে যা বললেন তারেক রহমান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ২:১৫:১৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে ‘সংকটাপন্ন’ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নতুন করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত রোববার থেকে তিনি হাসপাতালেই আছেন।
আজ শনিবার সকালে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও তারেক রহমানের ফেরা প্রসঙ্গে প্রথমে বিএনপি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। এর কিছু পরে অনেকটা একই ভাষায় এই প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পাতায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তারেক রহমান।
সেখানে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন”।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়েও কিছু মন্তব্য করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ” মমতাময়ী জন্মদাত্রীর শয্যাপাশে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থাকলেও জনাব তারেক রহমানের মন সার্বক্ষণিক ভাবে রয়েছে মায়ের পাশে। উদ্বিগ্ন মনে মায়ের অবস্থার উন্নতি অবনতির প্রতিটি মুহূর্তের সাথে রয়েছে তাঁর নিবিড় সংশ্লিষ্টতা। মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও তাঁর রয়েছে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ।
তারেক রহমান লিখেছেন, “এমন সঙ্কটকালে মায়ের স্নেহ স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্খা যে কোন সন্তানের মত আমারও আছে। কিন্তু অন্য আর সকলের মত সেটা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তাঁর একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ অবারিত নয়। স্পর্শকাতর সেই বিষয় বিস্তারিত বর্ণনার অবকাশও সীমিত”।
আরও পড়ুন ⤵
তারেক রহমান আরো লিখেছেন, “রাজনৈতিক বাস্তবতার সেই পরিস্থিতি প্রত্যাশিত পর্যায়ে উপনীত হওয়া মাত্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমার সুদীর্ঘ উদ্বিগ্ন প্রতিক্ষার অবসান ঘটবে বলেই আমাদের পরিবার আশাবাদী”।
এর আগে রোববার হাসপাতালে নেয়ার পর একই সঙ্গে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে ইনফেকশন বা সংক্রমণের কথা জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
বিএনপি থেকে শুক্রবার গভীর রাতেই জানানো হয়েছে যে, খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে রেখে দেশি বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু শুক্রবার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিসেস জিয়ার অবস্থা ‘সংকটময়’ জানানোর পর থেকেই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ‘উৎকণ্ঠা’ তৈরি হয়েছে। তাদের অনেককেই গভীর রাত পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে দেখা গেছে।




