ঘরে বসে সাংবাদিকতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৬:২৭ অপরাহ্ন
অনুপম প্রতিবেদক: ঘরে বসে সাংবাদিকতার অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এমন সাফল্যের বহু উদাহরণ আছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর পরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার প্রসার ঘটার পর থেকে। তবে, বেশ কিছু ব্যক্তি ঘরে বসে বা দূর থেকে সাংবাদিকতা করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। ঘর থেকে নানা বিষয়ে সারগর্ভ কলাম লিখে সংবাদপত্রে পাঠানোর ব্যাপারটি ইন্টারনেট যুগের আগেও ছিল। তখন সূত্র বেশিরভাগ ছিল বই ম্যাগাজিন। এখন অবারিত তথ্যভাণ্ডার অনলাইনে। তথ্য যাচাই করার নানা উপায়ও আছে।
ঘরে বসে সফল সাংবাদিকতার উদাহরণ
কোভিড-১৯ চলাকালীন সাংবাদিকতা: মহামারীর সময় অনেক সাংবাদিক ঘরে বসে কাজ করেছেন এবং তাদের রিপোর্ট করেছেন। তারা দূর থেকে খবর সংগ্রহ করেছেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এবং তথ্য যাচাই করেছেন। এই ধরনের কাজের ফলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হয়েছে, এবং এটি ঘরে বসে সাংবাদিকতার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে।
ওপেন-সোর্স ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম: ক্রিস্টো গ্রোজেভের মতো সাংবাদিক, যিনি হলেন একজন বুলগেরিয়ান অনুসন্ধানী সাংবাদিক এবং লেখক। তিনি তার তদন্তমূলক কাজের জন্য সুপরিচিত। তিনি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক ওয়েবসাইট বেললিংক্যাট-এর একজন নির্বাহী পরিচালক। ২০১৮ সালে সালিসবারিতে সিরিন্জ হামলার সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের পরিচয় উন্মোচন করার জন্য তিনি এবং তার দল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য ইউরোপীয় প্রেস পুরস্কার জিতেছিলেন।
যারা বেলিংক্যাটের (Bellingcat) সঙ্গে কাজ করেন, ঘরে বসে বা দূর থেকে ওপেন-সোর্স ডেটা ব্যবহার করে গুরুত্বপূর্ণ তদন্তমূলক প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। এতে বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ এলাকার খবর ও অন্যান্য গোপন তথ্যের উন্মোচন হয়েছে।

আরও পড়ুন—
ভবিষ্যতের চাকরিতে উচ্চ ডিগ্রি গুরুত্ব পাবে না
অনলাইন প্ল্যাটফর্ম: স্কট আলেকজান্ডারের মতো লেখকরা তাদের ব্লগে সাইকিয়াট্রি, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তি নিয়ে গভীর ও সমালোচনামূলক প্রতিবেদন লিখেছেন। যদিও এটি প্রথাগত সাংবাদিকতা নয়, তবুও এর প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য এবং এটি ঘরের ভেতর থেকে তৈরি কনটেন্টের একটি দৃষ্টান্ত।
সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার: অনেক সাংবাদিক ও মিডিয়া প্রতিষ্ঠান হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার এবং ফেসবুকের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দূরবর্তী স্থান থেকে খবর সংগ্রহ, যাচাই এবং প্রচার করেছে। এর মাধ্যমে মহামারীর মতো সংকটের সময় সঠিক তথ্য দ্রুত জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
সিস্টেমিক ইনভেস্টিগেশন: টাইলর কিংকেডের মতো সাংবাদিকরা বেথেসডার একটি গোপন খ্রিস্টান বোর্ডিং হোমের বিষয়ে তদন্ত করে সেখানে জোরপূর্বক দত্তক, শারীরিক নির্যাতন ও মানসিক আঘাতের মতো বিষয়গুলো ফাঁস করেছেন। এর ফলে অনেক শিশু তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পেরেছে। এই ধরনের কাজগুলো প্রায়শই ডেটা বিশ্লেষণ এবং দূরবর্তী যোগাযোগের মাধ্যমে করা হয়।




