গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আশাবাদী থাকা যাবে কি?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৩:৪৫ অপরাহ্ন
রাহমা রামিন চৌধুরী: গাজায় চলমান সংঘাত কমাতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রস্তাব উঠলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা এখনো ক্ষীণ। কারণ, যুদ্ধবিরতি মানেই শান্তি নয়—বরং রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ এখন আরও বড় হয়ে উঠছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সাময়িক সমঝোতা হলেও দুই পক্ষের মধ্যকার গভীর অবিশ্বাস এখনো দূর হয়নি। অতীতে বারবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ইতিহাস থাকায় নতুন উদ্যোগ নিয়েও আস্থা তৈরি হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট প্রশাসন গঠনের চেষ্টা করছেন, তবে সেটি কার নেতৃত্বে চলবে—তা নিয়েও বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান বাধা তিনটি—
(১) গাজা নিয়ন্ত্রণে কারা থাকবে,
(২) হামাসকে রাজনৈতিকভাবে কীভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, এবং
(৩) ধ্বংসপ্রাপ্ত অঞ্চলের পুনর্গঠনে কে অর্থ দেবে ও কী শর্তে দেবে।

আরও পড়ুন—
এপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয়: মায়ের শাসনামলের ভুলসহ যা বললেন
মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠনের কাজ শুরু হলেও নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনিক কাঠামো এখনো চূড়ান্ত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু দেশ গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে, কিন্তু এতে অংশ নেবে কারা—তা স্পষ্ট নয়।
অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকেও গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ। অবকাঠামো ধ্বংস, খাদ্য ঘাটতি, এবং স্বাস্থ্যসেবার অভাবে সাধারণ মানুষ শান্তির সুফল পাচ্ছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “যুদ্ধবিরতি একটি প্রয়োজনীয় ধাপ, কিন্তু যথেষ্ট নয়। যদি রাজনৈতিক সমঝোতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা না আসে, গাজার শান্তি কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে।”
তাই এখনকার পরিস্থিতিতে বলা যায়—
গাজায় শান্তি আসার আশা জাগছে বটে, কিন্তু তা স্থায়ী হবে—এই আশাবাদ দেখানোর সময় এখনো আসেনি।




