পর্তুগালের পার্লামেন্টে বোরকা নিষিদ্ধকরণ বিল পাস
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৭:৩৩:১৫ অপরাহ্ন
প্রকাশ্যে মুখ ঢাকা অবস্থায় ধরা পড়লে ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো জরিমানা হতে পারে।
লন্ডন অফিস: পর্তুগালের সংসদ প্রকাশ্যে “লিঙ্গ বা ধর্মীয়” কারণে মুখ ঢেকে রাখা নিষিদ্ধ করার একটি বিল অনুমোদন করেছে। সিদ্ধান্তটি মূলত মুসলিম নারীদের লক্ষ্য করে নেওয়া হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন, যারা বোরকা বা নিকাব পরিধান করেন।
দেশটির ডানপন্থী চেগা (Chega) পার্টি প্রস্তাবিত এই বিলে বলা হয়েছে, বোরকা যা পুরো শরীর ঢেকে রাখে এবং নিকাব যা চোখের অংশ ব্যতীত মুখ ঢেকে রাখে এসব পোশাক অধিকাংশ জনসমাগমস্থলে নিষিদ্ধ থাকবে। তবে বিমানে, কূটনৈতিক স্থাপনা ও উপাসনালয়ে মুখ ঢেকে রাখা যাবে।
বিল অনুযায়ী, প্রকাশ্যে মুখ ঢাকা অবস্থায় ধরা পড়লে ২০০ থেকে ৪,০০০ ইউরো (প্রায় ১৭৫ থেকে ৩,৪৭৫ পাউন্ড) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
তবে, এখনও বিলটি কার্যকর হতে রাষ্ট্রপতি মার্সেলো রেবেলো দে সুসার অনুমোদন প্রয়োজন। তিনি চাইলে এটি ভেটো দিতে পারেন বা সাংবিধানিক আদালতে পর্যালোচনার জন্য পাঠাতে পারেন।
আইনে পরিণত হলে, পর্তুগাল অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশগুলোর সারিতে যুক্ত হবে, যেখানে ইতোমধ্যেই মুখ ও মাথা ঢাকার পোশাকে আংশিক বা পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
যদিও পর্তুগালে খুব কমসংখ্যক নারী এমন পোশাক পরেন, তবুও ইসলামী পর্দা নিয়ে বিতর্কটি ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতোই আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
চেগা পার্টি বলেছে, মুখ ঢেকে রাখা বিশেষ করে নারীদের “বৈষম্য ও অধস্তনতার পরিস্থিতিতে” ফেলে এবং এটি “স্বাধীনতা, সমতা ও মানব মর্যাদার” নীতির সঙ্গে অসঙ্গত।
কিন্তু বামঘেঁষা দলগুলো এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।
দেশটির মধ্য-বামপন্থী সোশ্যালিস্ট পার্টির সংসদ সদস্য পেদ্রো ডেলগাডো আলভেস বলেন, “এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য হলো ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী ও বিদেশিদের টার্গেট করা”। তার দল বিলটির বিরুদ্ধে ভোট দেয়।
তিনি আরও বলেন, “কোনো নারীকে জোরপূর্বক পর্দা পরানো উচিত নয়, কিন্তু চরম দক্ষিণপন্থী দলের এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভুল।”




