সাদাপাথর ও বালু লুট: অবশেষে আলফু মিয়া গ্রেফতার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ৯:৩৬:২০ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত সাদাপাথর ও বালু লুটের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনটি হত্যাসহ সাত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আলফু মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও তেলিখাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারের পর আলফু চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি সাদাপাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় পাথর লুটসহ বিভিন্ন স্থানে বেআইনি বালু উত্তোলনের ঘটনায় দায়ের করা চারটি মামলায় আলফু মিয়া শীর্ষ আসামির তালিকায় ছিলেন।
জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের আমলেও আলফু চেয়ারম্যানসহ স্থানীয় কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা রাতের আঁধারে অবৈধভাবে পাথর ও বালু লুট করতেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেয় বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতারা। কিন্তু তাদের সঙ্গে আঁতাত করে আলফু চেয়ারম্যান ফের লুটের রাজত্ব অব্যাহত রাখেন।
এদিকে ধলাই নদীর একটি বালু মহালের ইজারা পান আলফু চেয়ারম্যানের ভায়রা ভাই হাফিজ আব্দুল্লাহ আল মামুন। মূলত ইজারার মূল মালিক ছিলেন আলফু।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে বালু মহালের ইজারা দেখিয়ে সাদা পাথর ও রেলওয়ে বাঙ্কার এলাকায় প্রকাশ্যে লুটপাট শুরু হয়, যা ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলতে থাকে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
এর আগে ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জে গুলি করে পাথর ব্যবসায়ী আব্দুল আলীকে (৩৫) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল হক বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়াকে প্রধান করে অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ওসি রতন শেখ বলেন, কাজী আব্দুল অদুদ আলফু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। পাথর-বালু লুটের সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান বলেন, তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে গা ঢাকা দিলেও পাথর বালু লুটসহ নানা অভিযোগে তাকে বিভিন্ন স্থানে খুঁজেছে পুলিশ। অবশেষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।



