ঢাকা-সিলেট ৬ লেন: বাহুবল অংশে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাজে ধীরগতি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪২:৪৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ কাজের হবিগঞ্জের বাহুবল অংশে ধীরগতি দেখা দিয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে। চুক্তির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ছোট একটি মন্দির ও একটি বটগাছ রক্ষায় অনড় জমির মালিক। তিনি রাস্তার নকশা পরিবর্তনের দাবি তোলেন। অথচ নকশা পরিবর্তন করলে ভূমিহীন হয়ে পড়বে অসংখ্য পরিবার। এলাকায় জনমনে এ নিয়ে অসন্তোষও আছে। তবে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান জানিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা জমি হস্তান্তর করতে পারব আশা করি। এখন কোনো জটিলতা নেই।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিপিসিএল নিয়োজিত প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, এখানে পশ্চিম পাশে হাওড় এলাকা। তাই সেদিকে ক্ষতি কম হবে। আর পূর্বদিকে ঘনবসতি সেদিকে অধিগ্রহণ করলে ক্ষতি বেশি হবে। তাছাড়া রাস্তাটি সোজা করতে হলে পশ্চিম দিকেই যেতে হয়। এসব বিবেচনায় নিয়েই মূলত সড়কের নকশাটি করা হয়েছে। এখন মূল কাজ হচ্ছে জেলা প্রশাসনের। অধিগ্রহণের জন্য যে টাকা প্রয়োজন তাও ইতোমধ্যেই সড়ক ও জনপথ বিভাগ জেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্যাকেজটি হচ্ছে আকিজ ফ্যাক্টরি (মর্দিলং ব্রিজ) থেকে সদরঘাট গেট পর্যন্ত। তার মধ্যে আকিজ ফ্যাক্টরি থেকে পুটিজুরির অর্ধেক পর্যন্ত এসে যৌথ জরিপ থেমে আছে প্রায় ৬ মাস ধরে। এ সময়ে আমাদের প্রজেক্ট প্রায় শেষ হয়ে যেত। ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে আমাদের সময় গণনা শুরু হয়েছে। এর ২৭০ দিনের মধ্যে আমাদের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় দুই বছর হতে চললেও আমরা এখনো জমি পাইনি।
প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন কাদের বলেন, আমাদের কাজটি করার জন্য ২০০ লোক দরকার। সে লোকবল বসিয়ে রেখে বেতন দিচ্ছি, যন্ত্রপাতি এনে ফেলে রেখেছি। শুধু জমি না পাওয়ায় কাজ হয়েছে অর্ধেকেরও কম। কন্টাক্ট ভায়োলেশনও হচ্ছে। দ্বিতীয়ত সড়ক বিভাগের খরচ বাড়বে।
আরও পড়ুন—
খাগড়াছড়িতে অস্থিরতা কাদের ইন্ধনে জানালেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুটিজুরি অংশের প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ গবেষণার পর রাস্তার নকশা তৈরি করা হয়েছে। চাইলেই সে নকশা পরিবর্তন করা যায় না। বাহুবল উপজেলার কল্যাণপুর মৌজায় একটি মন্দির পড়েছে রাস্তায়। সেটি আমরা অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু মন্দিরটি যে বাড়িতে পড়েছে তারা বাধা দেওয়ায় রাস্তাটির কাজ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে সরকার। এটি সম্পূর্ণ জেলা প্রশাসকের এখতিয়ার। আর আমরা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করব। জমি বুঝে পাওয়ার আগে কাজ করা সম্ভব নয়।
জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান বলেন, এখানে প্রায় ৩০১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে ৩০টি এলএ কেসের মাধ্যমে। খুব দ্রুত কাজ হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমরা ৪টি কেস বুঝিয়ে দিয়েছি। পুটিজুরি অংশটি নিয়েও কাজ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা জমি হস্তান্তর করতে পারব আশা করি। এখন কোনো জটিলতা নেই। সড়ক বিভাগ থেকেই নকশা করা হয়েছে। সে অনুযায়ীই কাজ হবে।




