নিউইয়র্কে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন
অনুপম প্রবাস ডেস্ক: নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাইডলাইনে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত ।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম সম্মেলনের সাইডলাইনে “ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ: শান্তি, সমৃদ্ধি ও সম্প্রীতি” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার নিউ ইয়র্কের একটি হোটেলে সেন্টার ফর এনআরবির উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি-এনআরবি’র চেয়ারপার্সন এম এস সেকিল চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জাতিসংঘে যোগদানকারী বাংলাদেশের সরকারি প্রতিনিধিদলের রাজনৈতিক প্রতিনিধি বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, সাংবাদিক, চিকিৎসক, শিক্ষাবিদ ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা দেশের অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিভিন্ন সমস্যাবলী তুলে ধরেন। পাশাপাশি বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহবান তারা। এজন্য আমেরিকায় ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্র ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর তাগিদ দেন আমেরিকান বাংলাদেশিরা। আমেরিকায় বিমান সেবা চালু ও সিলেটের সড়ক পথের কাজ দ্রুত সম্পন্নকরনের দাবী জানান প্রবাসীরা।
আগামী নির্বাচন ও প্রবাসীদের অংশগ্রহণ বিষয়ে উপস্থিত আলোচকরা বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন ও দেশের উন্নতির জন্য স্থায়ীভাবে টেকসই সুষ্টু গণতান্ত্রিক নির্বাচনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা বলেন, আমাদের অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করতে প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখছে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। প্রবাসীরা বিদেশে বাংলাদেশের দূতের কাজ করছেন।
বক্তারা প্রবাসীদের ভোটাধিকার বিষয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন। তবে প্রবাসীদের অধিক হারে ভোটাধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে পোস্টাল ব্যালট যথেষ্ট কার্যকর নয়, এব্যাপারে অনলাইন ভোট বা আগাম ভোট অথবা আরো কার্যকর কোন পদ্ধতি নির্ধারণের আহ্বান জানান।
আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে বাংলাদেশের ইতিবাচক ব্রান্ডিং করতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হুমায়ূন কবির। বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে নিজের ও দলের করণীয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আর কোনো গোলামী চলবে না, ৫ই আগস্টে এটাই আমাদের শিক্ষা।তিনি বলেন, সরকার গঠনের সুযোগ পেলে আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনা ও তরুণদের ব্যাপক অংশগ্রহন নিশ্চিত করবো । তিনি বৈদেশিক নীতির ব্যাপারে ‘বাংলাদেশ প্রথম’ নীতি গ্রহণে তার দলের অবস্থান তুলে ধরেন ।
সভাপতির বক্তব্যে এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, এনআরবি সেন্টারের উদ্যোগে এখন পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্ধ শতাধিক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হয়েছে। কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের পজিটিভ ইমেজ বহির্বিশ্বে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। প্রবাসীদের প্রার্থীতার বিষয়ে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রবাসীরা টাকা পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি সচল করছেন। কিন্তু দেশের সংসদ ভোটে প্রার্থী হতে পারেন না। প্রবাসীদের ভোটপ্রয়োগ ও প্রার্থীতা বিষয়ে তিনি সকল অস্পটতা দুরীকরণে সরকার প্রতি আহ্বান জানান। তবে আশার কথা হলো- প্রধান উপদেষ্টা আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই বিষয়টা সমাধান তারা করবেন। যদি সমাধান করতে নাও পারেন অন্তত শুরু করে যাবেন। তিনি বলেন, দেশে বিদেশে সকল বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী রাজনৈতিক দল ও দল নিরপেক্ষ সকলে মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে এক যোগে কাজ করতে হবে।
সেকিল চৌধুরী আরো বলেন, পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবেন তারা সবাইকে নিয়ে কাজ করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং এটিই আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার রক্ষাকবচ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআরবি সেন্টার আমেরিকার সাপোর্ট গ্রুপের সদস্য প্রবাসী সানওয়ার চৌধুরী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্যতম নেতা মাফ মিসবাহ উদ্দিন, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক শওকত আলী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মহসিন পাটওয়ারী, চিকিৎসক ডক্টর জন্নুন চৌধুরী, মহিলা উদ্যোক্তা তহুরা চৌধুরী, তরুণ নেতা রাসেল, ব্যবসায়ী এম এ হোসেন, পুলিশ কর্মকর্তা কারাম চৌধুরী, চেম্বার নেতা লিটন আহমদ, কমিউনিটি নেতা সাবুল উদ্দিন, ব্যাংকার ওয়াসেক চৌধুরী, ব্যবসায়ী ও সমাজকর্মী ফখরুল ইসলাম দেলওয়ার, কমিউনিটি নেতা ময়নুল হক চৌধুরী হেলাল, জালালাবাদ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রোকন হাকিম, কমিউনিটি নেতা জসির উদ্দিন, হাসান আলী, ইসলামী চিন্তাবিদ ইমাম শামসী আলী ও ইমাম কারী কাইয়ুম প্রমুখ।—বিজ্ঞপ্তি



