রেমিট্যান্স: শীর্ষে সৌদি আরব, তৃতীয় যুক্তরাজ্য, পঞ্চম যুক্তরাষ্ট্র
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:১৬:১৩ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরব প্রবাসীদের রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে শীর্ষে উঠে এসেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তৃতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য। চতুর্থ স্থানে মালয়েশিয়া। পঞ্চম স্থানে নেমে গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। গত এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে রেমিট্যান্স প্রবাহের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত বুধবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রান্তিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, আলোচ্য প্রান্তিকে সৌদি আরব (কেএসএ) থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার, যা মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এর পরে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্থান। দেশটি থেকে এসেছে ১ হাজার ৪৮ কোটি ডলার। যা মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের ১২ দশমিক ২৬ শতাংশ।
যুক্তরাজ্য থেকে এসেছে ১০০ কোটি ৩৭ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের ১১ দশমিক ৭৪ শতাংশ। মালয়েশিয়া থেকে এসেছে ৯১ কোটি ২ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্সের মধ্যে ১০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসেছে ৭৯ কোটি ২৭ লাখ ডলার, যা মোট রেমিট্যান্স প্রবাহের ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। যে কারণে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স আসা কমে গেছে। আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসতো। এছাড়া মাঝেমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতও রেমিট্যান্স পাঠানোতে শীর্ষ দেশ ছিল।

আরও পড়ুন—
জামায়াত কেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এত প্রিয়
রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে এই শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য অনুকূল এবং প্রতিযোগিতামূলক বিনিময় হারের গতিশীলতা এবং অনুকূল নীতিগত পদক্ষেপের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে হুন্ডি প্রবণতা কমেছে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বেশি আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করে, রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধির ধারা আগামীতেও বজায় থাকবে, কারণ, চলতি বছরের এপ্রিল-মে সময়কালে বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৩ জন কর্মী বিভিন্ন দেশে গেছেন।
এর মধ্যে ৮ হাজার ৮২৪ জন মহিলা রয়েছেন। মোট অভিবাসীর মধ্যে প্রায় ৬৩ দশমিক ৩৪ শতাংশই সৌদি আরব গেছেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গন্তব্যস্থলের মধ্যে রয়েছে কাতার ১১ দশমিক ০৮ শতাংশ, সিঙ্গাপুর ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং কুয়েত ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। নতুন কর্মী যাওয়ার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়বে।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, আগে বেশির ভাগ রেমিট্যান্স আসতো সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এখন প্রতিযোগিতায় সরকারি ব্যাংকগুলো পিছিয়ে পড়ছে। এখন সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে।




