যুক্তরাজ্যে ‘ব্রিট কার্ড’ ডিজিটাল আইডি যে কারণে বাধ্যতামূলক হতে যাচ্ছে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০১:৫৩ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: অবৈধ অভিবাসন দমন ও নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রতিটি কর্মজীবী প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে নতুন সরকার-প্রদত্ত ডিজিটাল পরিচয়পত্র “ব্রিট কার্ড” রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল শুক্রবার এক ভাষণে এই পরিকল্পনার প্রতি তাঁর সমর্থন ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তির যুক্তরাজ্যে বসবাস ও কাজ করার বৈধতা যাচাই করা হবে।
এই উদ্যোগ কার্যকর করতে আইন পরিবর্তনের প্রয়োজন হবে। ইতোমধ্যেই নৌপথে অভিবাসীদের অনুপ্রবেশ রেকর্ড পরিমাণে বৃদ্ধি এবং আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ৭৫,০০০-এর উপরে থাকায় সরকারের ওপর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার চাপ বাড়ছে। সম্প্রতি জরিপে রিফর্ম ইউকে দলের সাফল্যও এই চাপকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তবে আটটি নাগরিক অধিকার সংগঠনের নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, বাধ্যতামূলক ডিজিটাল আইডি চালু হলে “অননুমোদিত অভিবাসীরা আরও গভীরভাবে ছায়ার আড়ালে চলে যেতে পারে।”
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে সরকার প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ডিজিটাল আইডি প্রবর্তনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে। সরকারের মতে, এটি অবৈধ অভিবাসীদের কালো অর্থনীতিতে কাজ করার প্রবণতা রোধে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে তারা এস্তোনিয়ার উদাহরণ বিবেচনায় নেয়, যেখানে বাধ্যতামূলক জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রায় ২০ বছর আগে টনি ব্লেয়ারের সরকারের প্রথম আইডি কার্ড প্রকল্পে কাজ করা লর্ড ব্লানকেট বর্তমান সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন—
“শিশু ও তরুণদের সুরক্ষায় বয়স যাচাই, কালো অর্থনীতিতে মানুষের শোষণ রোধ, চ্যানেল হয়ে অননুমোদিত অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং প্রতারণা থেকে সুরক্ষা—এসবই একটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত কর্মসূচি থেকে আসতে পারে। সময় এসেছে এই উদ্যোগ গ্রহণ করার।”



