অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত এনসিপি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৩৮:৫৯ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: শাপলা প্রতীক নিয়ে কঠোর অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। শাপলা পাওয়া বা না পাওয়ার মধ্য দিয়ে মূলত রাজনীতির মাঠে নিজেদের অবস্থান ও টিকে থাকার অগ্নিপরীক্ষা দিতে চায় এনসিপি।
প্রতীক হিসাবে শাপলা বরাদ্দ পেতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এছাড়া রাজপথে কর্মসূচির বাইরে আইনি লড়াইয়ের জন্য আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মূল কথা শাপলা ছাড়া অন্য কোনো প্রতীক গ্রহণ করা হবে না। এর শেষ না দেখা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এনসিপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে ‘জাতীয় ফুল শাপলা’ নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতীক হতে পারে কিনা এ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলছেন শাপলা পেতে এনসিপি নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন তাও শিষ্টাচারের মাত্রা ছাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে চাপের মুখে ইসি কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে নতি স্বীকার করলে ভবিষ্যতের জন্য এটি খারাপ নজির হয়ে থাকবে।
এনসিপি সূত্র বলছে, শাপলা প্রতীক বরাদ্দের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। এর আগে এনসিপির সঙ্গে ইসির একাধিক বৈঠকে শাপলা বরাদ্দের আশ্বাস দেওয়া হয়। এমনকি শাপলাকে প্রতীক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসি। তবে শেষ পর্যন্ত একটি প্রভাবশালী সংস্থার বাধার কারণে ইসি তার আগের অবস্থান থেকে পিছিয়ে আসে। এটি মূলত নির্বাচন নিয়ে ফ্যাসিস্ট আমলের সেই পুরোনো ‘গেম’ ছাড়া আর কিছুই নয়।
সর্বশেষ বুধবার প্রতীক হিসাবে শাপলা বরাদ্দ পাওয়ার আইনি ব্যাখ্যা তুলে ধরে ইসি কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। এতে বলা হয়, জাতীয় প্রতীকের চারটি স্বতন্ত্র উপাদানের মধ্যে শাপলা হচ্ছে একটি। কিন্তু অন্য উপাদানগুলোর মধ্যে বিএনপিকে ‘ধানের শীষ’ এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডিকে ‘তারা’ প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এনসিপি নেতারা বলছেন, ‘শাপলা জাতীয় ফুল’ এমন অজুহাতও ধোপে টেকে না। কারণ জাতীয় ফল ‘কাঁঠাল’কে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতীক হিসাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আবার তৃণমূল বিএনপি নামের দলটিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক। সুতরাং ‘শাপলা’ জাতীয় ফুল হলেও দলের প্রতীক হিসাবে তালিকাভুক্ত হতে আইনগত কোনো বাধা নেই।




