বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে লন্ডনে সমাবেশ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩:৩১:১৬ অপরাহ্ন
ফজলুল হক, লন্ডন: বাংলাদেশে চলমান নৈরাজ্য, খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, গণগ্রেফতার, মব ভায়োলেন্স, সাংবাদিক নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পাঁচটি মানবাধিকার সংগঠনের উদ্যোগে রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে পার্লামেন্ট স্কয়ারে অস্থায়ীভাবে নির্মিত ‘ইউনুস ঘৃণা স্তম্ভে’ সর্বসাধারণ ঘৃণা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিতদের মাঝে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সহিংসতার তথ্যসম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও মানবাধিকার কর্মী ফজলে রাব্বি স্মরণ এবং সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউরোপীয় সমন্বয়ক ড. আনিছুর রহমান আনিছ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার শ. ম. রেজাউল করিম।
এছাড়া বক্তব্য দেন যুক্তরাজ্য হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমেদ খান, ভয়েস ফর হিউম্যান রাইটস ইউকের সভাপতি আবু জাহেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদমান শরিফ, বাংলাদেশ মানবাধিকার কাউন্সিল ইউকের সভাপতি সয়েদ সাদেক আহমেদ, ফাইট ফর জাস্টিস ইন বাংলাদেশের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জাবের আহমেদ, ওয়ার্ল্ড কনফারেন্সের সভাপতি খন্দকার তারেক রায়হান, সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ রাজ, ডা. মাসুম বিল্লাহ, ব্যারিস্টার সালাউদ্দিন, হাজী ছুরুক মিয়া, আব্দুল হেলাল চৌধুরী সেলিম, রওশন আলী মাস্টার, রেজাউল করিম সাগর, মানবাধিকার কর্মী মশাহিদ আলম মহিম, টি এম রায়হান ও আবু তানহা প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক কর্মীসহ প্রায় ৪ লাখ মানুষকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রায় ৩০০ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত এক বছরে ৩ হাজারের বেশি ধর্ষণ, ১৭৪ জনকে মব ভায়োলেন্সে হত্যা, এবং মসজিদ ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না এবং মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে এসব অন্যায়ের অবসান এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে উপস্থিত সাধারণ মানুষ প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ‘ইউনুস ঘৃণা স্তম্ভে’ ঘৃণা প্রকাশ করেন।



