ড. ইউনূসের সঙ্গে যাচ্ছেন ৪ রাজনৈতিক নেতা কী কারণে?
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:১৫:১৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ ২১ সেপ্টেম্বর রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। তিনি সেখানে ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
এ সফরে তার সঙ্গে থাকবেন চারজন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা হলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ও দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এবং এনসিপির সদস্য-সচিব আখতার হোসেন।
জাতিসংঘের অধিবেশনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশ নেওয়ার বিষয় নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা চলছে। নানাজনে নানা মন্তব্যও করছেন এই সফর নিয়ে।
এরমধ্যে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব বলেন, চলতি বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেবেন। এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়।
আরও স্পষ্ট করে শফিকুল আলম বলেন, এই সফর বাংলাদেশের নির্বাচনকেন্দ্রিক কোনো মধ্যস্থতা বা আলোচনার জন্য নয়, বরং গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, ‘তারা সরকারের অংশীদার হিসেবে এ ধরনের বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে অংশ নিচ্ছেন।’
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন—
রিজার্ভ চুরি: বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত ফিলিপাইনে
তবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসাবে চারজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতার যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা আজ রাতেই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওয়ানা হচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হাইপ্রোফাইল চার নেতাকে সফরসঙ্গী করায় যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপের সম্ভাবনা অনেকটাই স্পষ্ট। বিদেশের মাটিতে রাজনৈতিক সংকটের আলোচনায় ‘আন্তর্জাতিক অ্যাক্টররা’ উপস্থিত থাকতে পারেন। কেননা বাংলাদেশের নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক সংকট নিয়ে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনা অতীতে ঘটেছে। এই সফরে নির্বাচনের আগে রাজনীতির অনেক জট আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে আলোকপাত করা হতে পারে। বিশেষ করে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ কেমন হবে, এর রূপরেখায় রাজনীতিকদেরও সঙ্গে রাখতে চাইছেন ইউনূস। এতে বর্তমান অনিশ্চিত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একধরনের মধ্যস্থতার ভূমিকা নিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির শনিবার সন্ধ্যায় একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক নেতাদের সফরসঙ্গী হিসাবে সঙ্গে নেওয়ার পেছনে নিশ্চয়ই রাজনৈতিক চিন্তা আছে। এটা অত্যন্ত স্পষ্ট। রাজনৈতিক সমঝোতা প্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য। কারণ, দেশে থাকলে অনেক টেনশন থাকে। নিউইয়র্কে সারাক্ষণ ইনফরমাল আলোচনা চলতে থাকবে। খাওয়াদাওয়ার সময়ও আলাপ-আলোচনা হবে। অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোগ নিলে আন্তর্জাতিক অ্যাক্টরদেরও এতে যুক্ত করতে পারে।’




