৭ হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৬:০২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলের ৭ হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে অনেককে পদচ্যুত বা বহিষ্কৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আবারও প্রমাণ হলো যে, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক।”
তারেক রহমান বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যে বিএনপি তৃণমূল থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এবং দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করছে।
তিনি আরও বলেন, দলের লক্ষ্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। বিশেষ করে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটানো গুরুত্বপূর্ণ। বিএনপি আধুনিকায়নের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, তরুণদের কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডিজিটাল উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতিসহ ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করছি। বিএনপির পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক, বিভাজন বা সুবিধাভোগের নয়।” তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে সততা, তরুণ নেতৃত্ব ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রগঠন নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সহকর্মী ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি, এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব যে, বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্খিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।’




