ভারত থেকে চাল আমদানি দুই বছর পর আখাউড়া দিয়ে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:০১:২৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ দুই বছর পর ভারত থেকে চাল আমদানি করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় চালভর্তি ভারতীয় দুটি ট্রাক আগরতলা বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরে এসে পৌঁছায়।
তবে মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি জানা যায়। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাচাই-বাছাইয়ের পর চালের ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মক্কা ট্রেডার্স আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ টন চাল আমদানি করে। প্রতি টন চাল ৫০০ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়; যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি চালের মূল্য পড়েছে ৬২ টাকা ৫৮ পয়সা।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চাল আমদানিতে আবারও গতি ফিরবে বলে মনে করছেন আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস ও বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট দায়িত্বে রয়েছেন মেসার্স আদনান এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মক্কা ট্রেডার্স ৭ হাজার টন সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির এলসি খুলেছেন; যা দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি করা হবে। এরই অংশ হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ৫০ টন সিদ্ধ চাল আমদানি করেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদ হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সব পণ্য আমদানির কার্যক্রম শুরু হলে বন্দরে কর্মসংস্থান বাড়বে।
আখাউড়া কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান খান বলেন, চালভর্তি ভারতীয় দুটি ট্রাক আখাউড়া বন্দরে রয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পরে চাল ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আখাউড়া স্থলবন্দর পথে আমদানি বাণিজ্য বাড়লে ব্যবসায়ী ও সরকার উভয়ই লাভবান হবে। বন্দরটি আরও গতিশীল হবে। সরকারও রাজস্ব পাবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালে পোর্ট অব কল হিসেবে আখাউড়া স্থলবন্দরের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর ২০১০ সালে এটি পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করে।




