ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দেড় থেকে দুই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৪:৪৬ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটের ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে সাদা পাথর লুটে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার ব্যক্তি সরাসরি জড়িত বলে হাইকোর্টে দাখিল করা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এজন্য খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ এবং বিধিমালা ২০১২ এর ৯৩(১) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট দুই হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) খনিজ সম্পদ ও পরিবেশ সচিবের পক্ষে হাইকোর্টে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ১৫ আগস্ট কোম্পানিগঞ্জ থানায় মামলা নং ০৯ দায়ের করা হয়। মামলাটি খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ সহ দণ্ডবিধির ৩৭৯/৪৩১ ধারায় করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট থেকে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০০–২০০০ ব্যক্তি পাথর লুট করে নিয়ে যায়।
আদালতের নির্দেশে পরিবেশগত আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য ২১ আগস্ট একটি ছয় সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত সচিব (অপারেশন), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আহ্বায়ক এবং বুয়েটের একজন অধ্যাপক সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এফিডেভিট দাখিল করে আদালতকে জানিয়েছেন, লুট হওয়া পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলছে, দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুতের কাজও অব্যাহত আছে এবং ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি এলাকায় নিয়মিত নজরদারি চলছে।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন পত্রিকায় সাদা পাথর লুটপাটের সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে রিট দায়ের করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিটের শুনানি নিয়ে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং ৭ দিনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লুট হওয়া পাথর সংগ্রহ করে ভোলাগঞ্জ কোয়ারিতে প্রতিস্থাপনের নির্দেশ দেন।
এছাড়া আদালত জেলা প্রশাসন, বিজিবি, র্যাবসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে পাথর লুটের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা ১৫ দিনের মধ্যে এফিডেভিট আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে পরিবেশ সচিব ও খনিজ সম্পদ সচিবকে বুয়েট অধ্যাপকসহ বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে পরিবেশের ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দিন-রাত তদারকির জন্য মনিটরিং টিম গঠন করে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।




