ভোটকেন্দ্র দখল করলে যে পরিণতি হবে জানালেন সিইসি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১১:৩৭:১৯ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ভোটের দিন কেন্দ্র দখলের যে কোনো চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না।
তিনি বলেন, যারা ভোটকেন্দ্র দখলের স্বপ্ন দেখে, তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে, আর যারা অস্ত্র ব্যবহার করে ভোটে জয়ী হতে চাইবে, তাদের জন্য দুঃসংবাদ অপেক্ষা করছে। “ভোটকেন্দ্র দখলের ইতিহাস ভুলে যান। আমরা কঠোর অবস্থানে থাকবো। কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে পুরো ভোট বাতিল হবে,” বলেছেন তিনি।
শনিবার (২৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, এ বিষয়ে কোনো রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে আমাদের হস্তক্ষেপ করার উদ্দেশ্য নেই। তিনি উল্লেখ করেন, “প্রধান উপদেষ্টার চিঠি পাওয়ার পর থেকেই আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার করেছি। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে রমজানের আগে যাতে নির্বাচন হয়, তার জন্য আমরা তৎপর।”
নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিতর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আনুপাতিক পদ্ধতি বা পিআর পদ্ধতি সংবিধানে নেই। সংবিধানের বাইরে আমরা যেতে পারি না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যা বিতর্ক চলছে, আমি তাতে ঢুকতে চাই না। যদি আইন পরিবর্তন হয়, তখনই এটি হবে।”
নাসির উদ্দিন আরও জানান, সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “স্ট্রাইকিং ফোর্স নয়, সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার যারা আগে নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন, তাদের পদায়নের বিষয়ে কোনো পরিবর্তনের চিন্তা নেই।”
তিনি বিগত সরকারের সময় দায়িত্ব পালন করা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রসঙ্গে বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অধীনে মোট ৫৭০০ কর্মকর্তা রয়েছেন। যারা আগেও দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদেরকে পুনরায় কাজে লাগানো হবে। তবে যারা স্বপ্রণোদিতভাবে পূর্ববর্তী নির্বাচনে অনিয়ম করেছেন, তারা আর দায়িত্বে থাকবেন না।”
সরকারের কোনো চাপের প্রশ্নে সিইসি জানান, “এই সরকার এখন পর্যন্ত আমাকে নির্বাচন নিয়ে কোনো চাপ দেয়নি। যদি দেয়, আমি পদত্যাগ করব, চেয়ারে থাকব না।”
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, “আওয়ামী লীগের এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম নেই। তাদের বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দেখা যাক বিচারে কী হয়।”
সভায় শেষ পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজশাহী অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট আয়োজনের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দেন।




