মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ব্যানক্যাটের উদ্যোগে দেশের প্রথম ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ আগস্ট ২০২৫, ৪:২৭:৩৯ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট) মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দেশের প্রথম ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজ ‘আলোক বসতি’ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপর গড়ে ওঠা এই ভিলেজে থাকবে ২৫০ শয্যা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান থেকে ২৫ কোটি টাকার সমমূল্যের সামগ্রী প্রদানের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে ভিলেজের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে সেবা কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্য রয়েছে।
১৭ আগস্ট (রোববার) সন্ধ্যায় লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল রোডের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লন্ডন সফররত ব্যানক্যাট নির্বাহী পরিচালক ও লেখক নাজমুস আহমেদ আলবাব।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফ্রেন্ডস অব ব্যানক্যাট-এর আহ্বায়ক ও সমাজসেবী মাকসুদ খান বাবুল। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিয়ানীবাজার ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান সুহেল খান, সিইও সাহাব উদ্দিন আহমেদ, ব্রেন্ট কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর পারভেজ আহমেদ, ক্রয়ডন কাউন্সিলের সাবেক মেয়র কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী, বাংলাদেশ ক্যাটারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অলি খান, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ, কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব পারভেজ রশিদ, মতিউর রহমান খোকন, ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ হোসাইন মুকুল, সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম মৃধা, এবং কমিউনিটি নেতা জুয়েল জামান প্রমুখ।
নাজমুস আহমেদ আলবাব বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ৩০ লাখেরও বেশি ক্যান্সার রোগী রয়েছেন। বিশেষায়িত হাসপাতাল ও দীর্ঘমেয়াদি কেয়ারহোমের ঘাটতির কারণে অনেক রোগী প্রয়োজনীয় সেবা থেকে বঞ্চিত হন। এ কারণেই ব্যানক্যাট ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি জানান, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি নিজেও লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার পর তিনি ক্যান্সার রোগীদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন।
২০২২ সালে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ব্যানক্যাট প্রতিষ্ঠা করে ২৪ শয্যার ‘মোসাব্বির আলোক নিবাস’। প্রথম বছরেই সেখানে ৩৫০ জনের বেশি রোগী সেবা পান। পরবর্তীতে মোসাব্বির মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সেটি ৯০ শয্যায় উন্নীত হয়। বর্তমানে সেখানে রোগী ও কেয়ার-গিভারসহ ৯০ জন মানুষ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা পাচ্ছেন। প্রতিদিন প্রায় ৪০-এর বেশি কর্মী কাজ করছেন সেখানে এবং মাসিক পরিচালন ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা—যা দানশীল মানুষের সহায়তায় বহন করা হচ্ছে।
এই অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরণার ভিত্তিতেই ব্যানক্যাট এখন সিঙ্গাইরে ২৫০ শয্যার ‘ক্যান্সার কেয়ার ভিলেজ’ নির্মাণে হাত দিয়েছে। প্রকল্প সফল করতে দেশ-বিদেশের প্রবাসী ও শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন নাজমুস আহমেদ আলবাব।


