কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোনে হ্যাকিং সফটওয়্যার ঢুকে গেছে কিনা এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থা কী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ৭:২১:৫৮ অপরাহ্ন
অনুপম প্রযুক্তি ডেস্ক: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং ব্যক্তিগত জীবনের অর্ধেকের বেশি তথ্যের ভান্ডার। ব্যাংক অ্যাপ, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ছবি—সবকিছুই থাকে একটি ফোনে। ফলে ফোনে স্পাইওয়্যার বা হ্যাকিং সফটওয়্যার ঢুকে গেলে তা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ফোনে স্পাইওয়্যার/হ্যাকিং সফটওয়্যার আছে?
ফোন অস্বাভাবিকভাবে স্লো হয়ে যাওয়া – হঠাৎ করেই যদি ফোন ধীরগতির হয়ে যায়।
ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া – ব্যাকগ্রাউন্ডে লুকানো অ্যাপ চললে ব্যাটারি দ্রুত খরচ হয়।
ডেটা ব্যবহার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া – অজানা কারণে ইন্টারনেট খরচ অনেক বেড়ে গেলে সতর্ক হতে হবে।
নিজে না পাঠিয়েও মেসেজ/কল যাওয়া – হ্যাকিংয়ের অন্যতম লক্ষণ।
ফোন হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়া – ব্যাকগ্রাউন্ডে স্পাইওয়্যার চলতে পারে।
অচেনা অ্যাপ দেখা দেওয়া – যেগুলো আপনি কখনো ডাউনলোড করেননি।
ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন নিজে নিজে চালু হওয়া – এটি সবচেয়ে বড় সতর্কসংকেত।
প্রতিরোধের উপায়
সবসময় অফিসিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
অপরিচিত লিঙ্ক বা সন্দেহজনক মেসেজে ক্লিক করবেন না।
ফোনের সফটওয়্যার এবং অ্যাপস নিয়মিত আপডেট রাখুন।
অচেনা অ্যাপ পারমিশন বন্ধ করে দিন এবং নিয়মিত চেক করুন।
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং সম্ভব হলে টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু রাখুন।
পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত অ্যান্টিভাইরাস বা সিকিউরিটি অ্যাপ দিয়ে স্ক্যান করুন।
ফোনে হ্যাকিং বা স্পাইওয়্যার ঢুকে পড়লে ক্ষতির পরিমাণ কেবল আর্থিক নয়, মানসিক ও সামাজিক ক্ষতিও ডেকে আনে। তাই সচেতন থাকা, সঠিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং নিয়মিত সাইবার সিকিউরিটি চেক করাই একমাত্র সুরক্ষা। প্রযুক্তির যুগে নিজের তথ্য রক্ষাই এখন সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।




