বাংলাদেশে ক্যান্সার প্রতিরোধে যৌথ উদ্যোগ জোরদারের লক্ষ্যে লন্ডন হাইকমিশনে বৈঠক
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: বাংলাদেশে ক্যান্সার প্রতিরোধে সম্মিলিত উদ্যোগ জোরদারের লক্ষ্যে ২১ জুলাই যুক্তরাজ্যের লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে এক গুরুত্বপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশ সরকারের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম।
বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে বাংলাদেশে ক্যান্সার পরিস্থিতি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম, প্রাথমিক রোগ নির্ণয়, এবং দেশের প্রতিটি অঞ্চলে সুলভ ও সহজলভ্য চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রসারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন: হাইকমিশনারের ব্যক্তিগত সচিব কন্সুলার মৌমিতা জিনাত, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ফাউন্ডেশন (BBCGHF) এর চেয়ারম্যান সোহেল খান, বিয়ানীবাজার ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল ফাউন্ডেশনের (BBCGHF) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাব উদ্দিন, বাংলাদেশ অ্যান্টি-ক্যান্সার ট্রাস্ট (BANCAT) এর নির্বাহী পরিচালক লেখক নজমুস আহমেদ আলবাব, ফ্রেন্ডস অব BANCAT ইউকে এবং সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (CRP) এর প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মোকসুদ আহমেদ খান।
BBCGHF ও BANCAT-এর পক্ষ থেকে ক্যান্সার প্রতিরোধে সমন্বিতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। আলোচনা পর্বে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি তৃণমূল জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম যৌথ এই উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তিনি আন্তর্জাতিক সহযোগী, দাতা সংস্থা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা একটি জাতীয় চ্যালেঞ্জ। এ ক্ষেত্রে সকল সংস্থার মধ্যে কার্যকর সমন্বয় এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা অত্যন্ত প্রয়োজন।”
বৈঠকে বক্তারা বলেন, চিকিৎসা ও গবেষণায় অগ্রগতি সত্ত্বেও, এখনও অনেক মানুষ সময়মতো সঠিক চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষত বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে “Cancer Care Gap” একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।
এই ব্যবধানের কারণে যেমন রোগীর মৃত্যু হার বাড়ছে, তেমনি বৈশ্বিক ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপগুলো কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
বৈঠকের আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের উচ্চপর্যায়ের সংলাপ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের ক্যান্সার প্রতিরোধ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।



