আমেরিকায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর প্লাস্টিকের বিকল্প আবিষ্কার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ জুলাই ২০২৫, ১:৩৮:৫৮ অপরাহ্ন
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র: টেক্সাসের হিউস্টন ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল ও অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ড. মাকসুদ রহমান এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যার মাধ্যমে পচনশীল ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজকে শক্তিশালী ও বহুমুখী উপাদানে রূপান্তর করা যায়। এই উপাদান প্লাস্টিকের কার্যকর বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
৮ জুলাই হিউস্টন ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই ব্যাকটেরিয়াল সেলুলোজ দিয়ে পানির বোতল, প্যাকেজিং উপকরণ, এমনকি ক্ষত ঢাকার ব্যান্ডেজও তৈরি করা সম্ভব।
গবেষণা প্রকল্পটির নেতৃত্ব দেন ড. মাকসুদ রহমান। তবে গবেষণার সূচনা করেছিলেন টেক্সাসের রাইস ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি অধ্যয়নরত আরেক বাংলাদেশি বিজ্ঞানী এম এ এস আর সাদী। উভয়েই বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর প্রাক্তন শিক্ষার্থী।
এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার Nature Communications জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। রাইস ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইট, SciTechDaily এবং Environment News Network সহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এই গবেষণার খবর প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গবেষণা দলে মাকসুদ রহমান, এম এ এস আর সাদী ও শ্যাম ভক্ত ছাড়াও ইউফেই চুই, সাকিব হাসান, বিজয় হরিকৃষ্ণান, ইভান আর সিকুয়েরা, ম্যাটিও প্যাসকোয়ালি, ম্যাথু ব্যানেট ও পুলিকেল এম. অজয়নের মতো গবেষকরা ছিলেন।
ড. মাকসুদ রহমান বলেন, “আমরা আশা করি এই পরিবেশবান্ধব ও বহুমুখী সেলুলোজ শিটগুলো ভবিষ্যতে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে এবং পরিবেশগত ক্ষতি হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।”
এম এ এস আর সাদী জানান, উন্নত সেলুলোজ ফাইবার তৈরিতে তাঁরা একটি বিশেষ ঘূর্ণায়মান কালচার ডিভাইস ব্যবহার করেছেন, যা ফাইবারের গঠনকে আরও মজবুত করে।
পরে এই সেলুলোজে বোরন নাইট্রাইড ন্যানোশিট যুক্ত করে একটি হাইব্রিড ম্যাটেরিয়াল তৈরি করা হয়, যার টেনসাইল শক্তি প্রচলিত প্লাস্টিকের তুলনায় অনেক বেশি।




