বড়লেখার সাবেক মেয়র ফখরুল ইসলামকে এমপি দেখতে চান এলাকাবাসী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১:১০:৫২ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: বড়লেখার রাজনীতির ইতিহাসে মেয়র ফখরুল ইসলাম একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। বিশেষত ছাত্র রাজনীতিতে তাঁর প্রভাব সবার মুখে মুখে। প্রভাবশালী নেতা ফখরুল ইসলাম পি সি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেছিলেন। রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছাত্র অবস্থাতেই। দলীয় নেতা হয়েও অনেকটা সর্বদলীয় অভিভাবক হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে।
একজন পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ প্রভাষক ফখরুল ইসলাম পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গাজীটেকা গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা (এম এল এস এল এল বি)। বড়লেখা নারী শিক্ষা একাডেমিতে প্রভাষক হিসেবে দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করছেন তিনি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ২০১১ সালে বড়লেখা পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দর ও জামায়াত ইসলামের প্রার্থী খিজির আহমদকে পরাজিত করে বড়লেখা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফখরুল ইসলাম জাতীয়তাবাদী দলের সকল ক্রান্তিলগ্নে রেখেছেন দায়িত্বশীল ভূমিকা। তার পুরো সময়টা সংগ্রামমুখর ছিল। দলের ভেতরে বাইরে নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে গভীর আত্মপ্রত্যয় নিয়ে। বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে তার ছিল আন্তরিক সম্পর্ক। বড়লেখার বারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী মরহুম এবাদুর রহমান চৌধুরীর অতি কনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর হিসেবে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করেছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সক্রিয়ভাবে দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল মৌলভীবাজার জেলা যুগ্ম সম্পাদক, জেলা বিএনপির মৌলভীবাজার জেলা (২০১৭) সভাপতি, জাতীয়তাবাদী যুবদল বড়লেখা উপজেলা শাখা দুই বারের সাধারণ সম্পাদক, বড়লেখা জাতীয়তাবাদী যুবদল ১৯৮৬ সালে পিসি উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক. ১৯৮৭ সালে বড়লেখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি, মৌলভীবাজার জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ সম্পাদক, সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন আহ্বায়ক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মৌলভীবাজার -১ বড়লেখা ও জুড়ি আসনের ক্লিন ইমেজের মানুষ সাবেক পৌরসভা মেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম বড়লেখা উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার তৃণমূল নেতাকর্মীর আস্থাভাজন একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা। বড়লেখা ও জুরী উপজেলাবাসির কাছে শিক্ষিত ভদ্র সৎ মার্জিত সাদা মনের মানুষ হিসাবে পরিচিত মেয়র দায়িত্ব পালনকালে সততার প্রশ্নে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেনি কেউ তাকে। বড়লেখা ও জুড়ীবাসীর প্রত্যাশা আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কায় নমিনেশন পাবেন। বিগত সরকারের মিথ্যা মামলা হামলার শিকার এ নেতা নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন সবসময়। নিজেও পুলিশের হামলার শিকার হয়েছেন।
স্বৈরশাসক এরশাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মেয়র ফখরুল ইসলাম দায়িত্বশীল এবং অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছেন। প্রত্যেকটি মিছিল মিটিংয়ে তার ভুমিকা লক্ষনীয়।
সংগঠনকে শক্তিশালী করতে গিয়ে একসময় প্রত্যেকটি স্কুল কলেজ এবং প্রতিটি ইউনিয়নে করছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কমিটি। পরবর্তীতে বড়লেখা ও জুড়িতে যুব জাতীয়তাবাদী যুবদলকে শক্তিশালী করতে গিয়ে করেছে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন কমিটি।
সাবেক মেয়র প্রভাষক ফখরুল ইসলাম এর জীবনের উল্লেখযোগ্য সময়টুকু কেটেছে সংগঠনে নিবেদিত থেকে। এখনও যিনি একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমানে স্পেন প্রবাসী এ নেতাকে এলাকাবাসী সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চান।