ম্যানচেস্টারে আব্দুল মতিন চৌধুরীর ফ্যামিলি রিইউনিয়ন অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ জুলাই ২০২৫, ১১:০৯:২৫ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ম্যানচেস্টারের স্থানীয় একটি হলরুমে ২৯ জুন রবিবার প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরীর (সোনা মিয়া) ফ্যামিলি রিইউনিয়ন।
পারিবারিক পুনর্মিলনী (Family Reunion) সাধারণত একটি আনন্দদায়ক এবং আবেগপূর্ণ আয়োজন হয়ে থাকে। এতে পরিবারের সদস্যরা একে অপরের সাথে দেখা করার, গল্প করার এবং পুরনো স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ পান। এই ধরনের অনুষ্ঠানে সাধারণত খাওয়া দাওয়া, খেলাধুলা, নাশিদ, তেলাওয়াত, রাফেল ড্র এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের সম্মান জানানো এবং তাদের কাছ থেকে মূল্যবান উপদেশ গ্রহণ করার একটি চমৎকার সুযোগ এই পুনর্মিলনী।
সকাল ১২টা থেকে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানের শুরুতে চমৎকার কন্ঠে কোরআন তেলাওয়াত এবং পরিবার আত্মীয়-স্বজন সহ সভার জন্য দোয়া পরিচালনা করেন আব্দুল মতিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ফারুক চৌধুরী।
স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা এহিয়া চৌধুরী একে অপরের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় রাখার জন্য আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রাণবন্ত সঞ্চালনা করেন মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে ছুরুক চৌধুরীর সন্তান বদরুল চৌধুরী।
চমৎকার রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবী আব্দুস সাহিদ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী হুমায়ূন কবির চৌধুরী, ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সাংবাদিক ও সমাজকর্মী মুহিব উদ্দিন চৌধুরী, ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক আখলাকুন নবী চৌধুরী জুয়েল ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুজ্জামান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে আব্দুল মতিন চৌধুরীর তৃতীয় ছেলে ওল্ডহামের বিশিষ্ট সমাজসেবক চুরুক চৌধুরীর প্রথম মেয়ে রুবি চৌধুরী ফ্যামিলি ট্রি বা বংশলতিকা সবার সামনে উপস্থাপন করেন। সিলেট বিশ্বনাথ এবং নিজ দৌলতপুরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি তুলে ধরেন।
ফারুক চৌধুরীর নাতনি রনিকা চৌধুরী পারিবারিক বন্ধন এবং ঐক্য সম্পর্কে ইংরেজিতে একটি চমৎকার বক্তৃতা করেন।
আমেরিকা এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে আসা পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্যদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি হয়ে উঠেছিল প্রাণবন্ত একটি মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে কয়েক পদের সুস্বাদু খাবারে আপ্যায়ন করা হয়। অনুষ্ঠানে চকলেট, কলম উপহার হিসেবে বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান বদরুল চৌধুরীর সাথে আয়োজন ও ক্যাটারিংয়ের সহযোগী দায়িত্বে ছিলেন ফারুক চৌধুরীর একমাত্র ছেলে রোমান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরী (সোনা মিয়া) সিলেট বিভাগের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১ জুন ১৯২৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এবং মৃত্যুবরণ করেন ১১ জুন ১৯৯২ সালে। তাঁর স্ত্রীর নাম মোসাম্মত লুৎফুন্নেসা।
মৃত্যুকালে তিনি পাঁচ ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে যান। ছেলেদের নাম যথাক্রমে ফারুক চৌধুরী, ছুরুক চৌধুরী, এহিয়া চৌধুরী, আম্বিয়া চৌধুরী, কিবরিয়া চৌধুরী ও একমাত্র মেয়ে ফাতেমা চৌধুরী। মরহুম আব্দুল মতিন চৌধুরীর ২৭ জন নাতি-নাতনি এবং তাদের ৩৪ জন সন্তান (প্রপৌত্র ও প্রপৌত্রী) রয়েছে।