বিশ্বনাথে পল্লীবিদ্যুৎ’র ট্রান্সফমার চুরির হিড়িক
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে ২০২৫, ৩:০৫:২২ অপরাহ্ন
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি: বাংলাদেশকে বলা হয় ছয় ঋতুর দেশ। ওই বাংলাদেশে বাংলা সালের শুরুতেই সবার মনে থাকে ‘কালবৈশাখী’ ঝড়ের এক অজানা আতঙ্ক। সাল শুরুর সাথে সাথে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে অনিয়মিতভাবে চলে ঝড়-বৃষ্টির খেলা। আর ঝড় শুরু হলেই আবার শুরু হয়ে যায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার খেলা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ঝড়-বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রাখেন কর্তৃপক্ষ। আর ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠে পল্লীবিদ্যুৎ’র ট্রান্সপরমার চোর দলের ট্রান্সপরমার চুরির কার্যক্রম। সম্প্রতি এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলায় যেনো ট্রান্সপরমার চুরির হিড়িক পড়েছে!
বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ট্রান্সপরমার চুরির ঘটনা ঘটলেও সিলেট অঞ্চলে এর (ট্রান্সপরমার চুরি) পরিমাণ অনেক বেশি। আর এর ধারাবাহিকতা বিশ্বনাথ উপজেলায়ও বৃদ্ধমান রয়েছে। ট্রান্সপরমার চুরি হলে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় ট্রান্সপরমার চুরি হওয়া এলাকার পল্লীবিদ্যুৎ’র গ্রাহকদের। এরপর নতুন ট্রান্সপরমার সংযোগের ক্ষেত্রে আর্থিক দায়ভার পরিশোধ করতে হয় ওই বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকেই। অথচ বিদ্যুৎ’র কাজে পারদর্শী না হলে কেউ কিভাবে বিদ্যুৎ’র ট্রান্সপরমার চুরির সাথে জড়িত থাকতে পারে, বরাবরই ওই প্রশ্ন থেকে যায় পর্দার আড়ালে? মাঝে মধ্যে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর সাথে পল্লীবিদ্যুৎ’র ট্রান্সপরমার চোর দলের কিছু সদস্য গ্রেপ্তার হলেও তাতে সামনে আসে না চুরির সাথে জড়িত থাকা গডফাদারদের পরিচয়।
আরো পড়ুন ➡️ যুক্তরাজ্য যুবদলের কমিটিতে স্থান পেলেন বিশ্বনাথের যারা
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবছরের মে মাসেই প্রবাসী অধ্যুষিত ওই বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৬টি ট্রান্সপরমার চুরি হয়েছে। এর মধ্যে গত বুধবার (১৪ মে) গভীর রাতে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের ‘ধনপুর জামে মসজিদ’র সামনে থাকা ৩টি ট্রান্সফরমার এবং বৃহস্পতিবার (১৫ মে) গভীর রাতে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের গোমরাগুল গ্রামের কয়ছর মিয়ার রাইস মিলের ৩টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়। ট্রান্সপরমার চুরির পর চোরের দল ওই ট্রান্সপরমারের ভিতরে থাকা মূল্যবান যন্ত্রাংশ নিয়ে গেলেও বাইরের অংশ যত্রতত্র পেলে যায়।
পল্লীবিদ্যুৎ’র ট্রান্সপরমার চুরির ঘটনার ব্যাপারে সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১’র বিশ্বনাথ জোনাল অফিসের ডিজিএম ফয়েজ উল্লাহ বলেন, বিশ্বনাথে এমাসে ৬টি ট্রান্সপরমার চুরি হলেও বিগত ৪ মাসে উপজেলার কোথাও থেকে কোন ট্রান্সপরমার চুরি হয়নি। আর এসব ট্রান্সপরমার চুরির ঘটনা সাথে সবসময়ই দুষ্কৃতিকারীরা জড়িত থাকে। তাই ট্রান্সপরমার চুরি প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বজাগ থাকতে হবে। পল্লীবিদ্যুৎ’র সকল গ্রাহকদেরকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা এলাকায় বার বার মাইকিং করে যাচ্ছি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ’র ট্রান্সপরমার’সহ সকল প্রকারের চুরি প্রতিরোধে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। আর সমাজ থেকে সকল প্রকারের অপরাধ দমন করতে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সার্বিক সহযোগী করতে হবে। সকলের সহযোগীতা ছাড়া কোন ভালো কাজই সম্ভব হবে না।




