জম্মুর আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ড্রোন মিসাইল (ভিডিও), শত শত তুর্কি ড্রোন পাকিস্তানের ব্যবহার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ মে ২০২৫, ১০:৩৩:১৩ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শতাধিক তুর্কি ড্রোন দিয়ে হামলার অভিযোগ করেছে ভারত। শুক্রবার সন্ধ্যায় কর্নেল সোফিয়া কুরেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিং করার সময় বলেছেন, বৃহস্পতিবার শেষ রাতে ৩০০ থেকে ৪০০টি তুর্কি ড্রোন দিয়ে কাশ্মীরের অন্তত ৩২টি স্থানে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
যার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং পাঠানকোটের বিভিন্ন এলাকাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে বলা হয়, লাদাখের সিয়াচেন হিমবাহ বেস ক্যাম্প এবং গুজরাটের কচ্ছ এলাকায়ও পাকিস্তানি ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। ওই দুটি ড্রোনের মধ্যে প্রায় ১৪০০ কিলোমিটার দূরত্ব ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।
কর্নেল সোফিয়া বলেছেন, এসব ড্রোনের অন্তত ৫০টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে ভারতীয় বাহিনী। সামরিক সূত্র জানিয়েছে, আসিগার্ড সোঙ্গর সিরিজের ড্রোন ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। এসব ড্রোন দিয়ে দিন অথবা রাতের যেকোনো সময় হামলা করা সম্ভব। গত বুধবার পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে হামলা চালিয়েছে ভারত। যা প্রতিহত করেছে পাকিস্তান। এরপর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের একাধিক স্থানে হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
জম্মু এয়ারবেস আন্ডার এ্যাটাক!
স্যমন্তক ঘোষ, রজৌরি (জম্মু), আনন্দবাজার পত্রিকা: বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা। জম্মু স্টেশন মোড়ে অটোওয়ালার সঙ্গে দর হাঁকাহাঁকি করছিলাম। আচমকা শব্দ ভেসে এল! দুম…দুম…দুম…!
আমি আর অটোচালক দু’জনেই চমকে উপরে তাকালাম। মাথার উপরে আকাশে মালার মতো উড়ে যাচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে লাল বল। তার পরে মিলিয়ে যাচ্ছে দিগন্তে। দিল্লি থেকে জম্মু পর্যন্ত আসতে আসতে ১১ ঘণ্টার রাস্তায় সেনা কনভয় দেখেছি ঠিকই। তার সঙ্গে নজরে পড়েছিল কিছু উত্তর ভারতীয় বিয়েবাড়ির তাঁবুও। তা হলে কি বৃহস্পতিবার বিয়ে-টিয়ে আছে শহরে? এ কি সেই উৎসবের আতশবাজির রোশনাই!
সম্বিত ফিরল কলার ধরে হ্যাঁচকা টানে। অটোওয়ালা টেনে আমায় ঢুকিয়ে নিয়েছেন তাঁর বাহনের আপাত-নিরাপদ ক্যানভাসের খাঁচায়। হু-হু করে অটো ছুটতে শুরু করল। নিমেষের মধ্যে অন্ধকার নেমে এল গোটা শহর জুড়ে।
অটো থেকেই দেখছিলাম, যে যে দিকে পারছেন দৌড়চ্ছেন। ঝপঝপ করে শাটার নামছে দোকানের। একটা দোকানের সামনে ব্রেক কষে অটো থামিয়ে প্রায় ঠেলেই আমায় ভিতরে ঢুকিয়ে দিলেন অটোওয়ালা। ঢুকে পড়লেন নিজেও। সেকেন্ডেরও ভগ্নাংশে দোকানের ঝাঁপ নেমে গেল। ভিতরে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলের আলো জ্বেলে ফিস ফিস করে দোকানদার সম্ভবত স্ত্রীকে বলছিলেন, ‘‘আমি আমার সময়মতো চলে আসব। ঘরের আলো বন্ধ করে রাখো। সদর দরজার কাছাকাছি থেকো। দরকারে যেন এক দৌড়ে বাইরে বেরোতে পারো!’’ জানিয়ে রাখলেন, তিনি বাড়ি না-ফিরলেও চিন্তা নেই। তিনি নিরাপদেই থাকবেন। আমার মোবাইলে ঝপাঝপ টেক্সট মেসেজ আর হোয়াট্সঅ্যাপ ঢুকছিল— জম্মু এয়ারবেস আন্ডার অ্যাটাক!




