হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্কের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মার্চ ২০২৫, ১২:১২:১০ অপরাহ্ন
লন্ডন অফিস: পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্ক এর ইফতার মাহফিল পূর্ব লন্ডনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সোমবার ১৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কমিউনিটি নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্পিকার ও কাউন্সিলর শাফি আহমেদ, কাউন্সিলর ও কেবিনেট মেম্বার কামরুল হোসাইন, টাওয়ার হ্যামলেটস কেয়ারার্স অরগানাইজেশান এর সভাপতি আব্দুল মান্নান ও কমিউনিটির নানা শ্রেণি ও পেশার প্রতিনিধিরা।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আবুল কাসেম হেলালের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি শাহ চেরাগ আলীর পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন শাহজাহান মিয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি নেতা সিরাজুল ইসলাম শাহীন, মাওলানা সাইয়েদ জামাল, মুহাম্মদ জুবায়ের, মনির উদ্দিন, এডভোকেট সাইফুর রহমান পারভেজ, গুলাম আব্বাস, জহির উদ্দিন, আফসার উদ্দিন, আক্তার মিয়া, হাবিবুর রহমান বাবলু, মুশাহিদ আলী, দারা মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, এ ধরনের ইফতার মাহফিল শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং এটি সমাজের একত্রিত হওয়ার, পরস্পরের সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করার একটি বিশেষ সুযোগ। তারা বলেন, হোয়াইটচ্যাপেল ও শ্যাডওয়েল কমিউনিটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কমিউনিটির মধ্যে সংহতি ও সহযোগিতা আরও দৃঢ় হবে। এছাড়া, এই সংগঠন কমিউনিটির জন্য নানা ধরনের সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কমিউনিটি নেতারা একসাথে মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং বিশেষ করে তরুণদেরকে সমাজসেবা ও দানশীলতার পথে পরিচালিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন। তারা বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য পবিত্র রমজান মাস এক অনন্য সময়, যখন সকল মানুষ একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে আবুল কাশেম হেলাল কমিউনিটি নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজন আরও ব্যাপক আকারে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি সকলকে একত্রে কাজ করার জন্য আহ্বান জানিয়ে বলেন, একে অপরকে সহযোগিতা করেই একটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ কমিউনিটি গঠন সম্ভব।
ইফতার মাহফিলের পর, সবাই একসাথে মিলিত হয়ে খাওয়া-দাওয়া করেন এবং সবার মধ্যে একটি সুন্দর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।