‘এই দেখুন মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত আসামির হাতে হাতকড়া’
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০২:২৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার পারভেজ মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ফের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
রিমান্ড শুনানি শেষে শমসের মবিন চৌধুরীকে হাতে হতকড়া, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথায় হেলমেট পরিয়ে হাজতখানায় নেওয়া হচ্ছিল। নিয়ে যাবার সময় শমসের মবিন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য হাত উঁচু করে বলেন, ‘এই দেখুন মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত আসামির হাতে হাতকড়া’। একটু পর থেমে তিনি আরও বলেন, খেতাবপ্রাপ্ত আহত, পঙ্গু একজন মুক্তিযোদ্ধার হাতে হাতকড়া। এটা কেন? এরপর তিনি নীরবে হাজতখানায় হেঁটে যান।
শুনানিতে মহানগর পিপি বলেন, ‘এই শমসের মবিন চৌধুরীর মতো পল্টিবাজ লোক এ দেশের রাজনীতিতে খুবই বিরল।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। এরপর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। আওয়ামী সরকারের আমলে বিতর্কিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলেও তিনি কিংস পার্টি গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক।’
এসময় আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন শমসের মবিন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আমাকে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয়। আমি ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ৫ আগস্টে নিজ বাসাতেই ছিলাম। এখনও আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা দিচ্ছি। পিপি সাহেব যেসব কথা বলেছেন সেগুলো মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করার শামিল।’ এরপর আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।