ফেঞ্চুগঞ্জ: শিক্ষাবিদ ইন্তাজির খান সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭:২৫:৫০ অপরাহ্ন
সিলেট অফিস: শিক্ষাবিদ মরহুম ইন্তাজির খান ফেঞ্চুগঞ্জে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বহু গুণে গুণান্বিত একজন সমাজ সচেতন ও দরদি মানুষ ছিলেন। তিনি এ সমাজের মানুষের প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ন্যায় বিচারের একজন সালিশি ব্যক্তিত্ব ছিলেন। শিক্ষার প্রসারে তাঁর অগ্রণী ভূমিকা এ অঞ্চলের সবাই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি জীবদ্দশায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বহু ধরনের সমস্যার সমাধান করে গেছেন এবং অসহায় মানুষের দরদিও ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মানুষ ভালবাসা পেয়েছিল অকৃত্রিম।
একটি দুর্লভ ছবি উপরে। তাঁর নেতৃত্বেও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকেও প্রতিনিধি দল পশ্চিম পাকিস্থানে গিয়েছিলেন। সিলেট জেলার হাতে গোনা প্রাচীন কয়েকটি স্কুলের অন্যতম বিদ্যাপীঠের কৃতিত্ব এবং সুনামে অভিভুত হয়ে ষাট দশকের প্রথম দিকে বেগম সুফিয়া কামাল ও ড: নিলীমা ইবরাহিমের মতো দেশের আরো অনেক কৃতি সন্তানরাও এই স্কুল পরিদর্শন করেন। অবসর গ্রহণের পরেও আজীবন কাশিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অবৈতনিক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষাবিদ ইন্তাজির খান। তাঁকে কাসিম আলী হাই স্কুলের আজীবন রেক্টর সম্মাননা প্রদান করা হয়।
তিনি একজন সফল শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবী ছিলেন। ফেঞ্চুগঞ্জের তৎকালীন অনেক সংগঠন প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অবকাঠামো গঠনে তিনি সবসময় নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফেঞ্চুগঞ্জ শাহী ঈদগাহ, ইসলামী পাঠাগার ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত হয় তাঁর প্রচেষ্টায়। তিনি ১৯৮৮ সালে ১৮ আগস্ট থেকে ১৯৮৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এ অঞ্চলের জ্ঞানী-গুণীরা তাই এ অতুলনীয় কর্মবীর মানুষটির কর্মযজ্ঞের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।
ইন্তাজির খান ফাউন্ডেশন ও ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কুরআন মাদ্রাসার উদ্যোগে শিক্ষাবিদ মরহুম ইন্তাজির খান স্মরণে আলোচনা, দোয়া মহফিল এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
৯ ফেব্রুয়ারি রোববার মাদ্রাসার হলরুমে আয়োজিত এ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার স্বনামধন্য প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আবু সাঈদ মাহমুদ সেলিম।
হাফেজ মাজেদুল ইসলামের কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ মাহফিলে ইসলামি সংগীত পরিবেশন করেন মেহেদী হাসান নাবিল।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশন এম এ মালেক খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক, গবেষক, অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর-র নির্বাহী সম্পাদক সারওয়ার চৌধুরী, কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আহাদুজ্জামান,
ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ দলিল উদ্দিন, দনারাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইফুল ইসলাম, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুল ওহাব, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদীয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার সভাপতি হাফিজ তরিকুল ইসলাম তোহা, ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক, সৈয়দ রিয়াছত আলী উচ্চ বিদ্যালয় ও সদস্য সচিব, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা শাখার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার সদস্য সচিব ইকবাল আহমদ খান, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদীয়া কামিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল হাসেম, সহকারী অধ্যাপক, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, আরবি প্রভাষক ফজলে রাব্বি, আরবি প্রভাষক আবুল ফজল মোহাম্মদ তোহা। এছাড়াও হাফিজ আলামিন, শিক্ষক, ফেঞ্চুগঞ্জ মোহাম্মদিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ আব্দুল ওয়াহিদ।
মাহফিলটি সঞ্চালনায় ছিলেন কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: আব্দুল জাবিদ।
তাছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাহবুব আহমদ খান, শিক্ষক, ফেঞ্চু গঞ্জ,মোহাম্মাদিয়া কামিল মাদ্রাসা ও ইন্তাজির খান ফাউন্ডেশনের কর্ণধার, সহকারী শিক্ষক কায়েস্থরাইল হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষক মহিউদ্দিন, সাদিক চৌধুরী, মোক্তাছিদ আহমেদ খান, শিপার খান, লতিফ খান, রেদওয়ান হোসাইন,তাহমিদ চৌধুরী।
সব শেষে কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তি তুলে দেন মাহফিলে আগত অতিথিরা।