মহাপরিচালক ক্ষমা চাইলেন, বাংলা একাডেমির সংস্কার চান উপদেষ্টা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৩:২৫ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: বাংলা একাডেমি পুরস্কার নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। গত বছর বিতর্কের জেরে কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার তার পুরস্কার ফেরত দেন। এবারও বিতর্ক এড়াতে পারেনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার। তালিকা ঘোষণার দুই দিন পর গেল শনিবার সন্ধ্যায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
তবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ঘোষণার পর তা যাচাইয়ের জন্য স্থগিত করায় ক্ষমা চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম।
তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে কেউ জড়িত কি না তা দেখা হবে। প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করা হবে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলা একাডেমির সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম এই ঘটনায় ক্ষমা চান। বলেন, স্থগিত হওয়া পুরষ্কার প্রাপ্তদের তালিকা আবারো যাচাই করা হচ্ছে।
অপরদিকে সাংবাদিক সম্মেলনে উপদেষ্টা সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী জানান, এখন পর্যন্ত কোনো বই নতুন করে নিষিদ্ধ করা হয়নি। বাংলা একাডেমির সেই এখতিয়ার নেই।
তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির পরিচালনা ও পুরস্কার কমিটি রাজনৈতিক বিবেচনায় কাজ করেছে। নতুন চিন্তা প্রবেশের জায়গায় রাখা হয়নি। তার পরিবর্তন আনা হবে।
এসময় একাডেমি সংস্কারে কমিটি করা হবে বলেও জানান তিনি।
ফারুকী বলেন, পুরস্কার দেওয়ার প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ৩০ ফেলো যাদের নাম সুপারিশ করেন, কমিটিকে তাদের মধ্য থেকেই পুরস্কার দিতে হয়। এসবসহ সম্পূর্ণ বাংলা একাডেমিকে ঢেলে সাজানোর জন্যই সংস্কার কমিটি করা হচ্ছে।
খ্যাতিমান লেখকদের অনেকেই বাংলা একাডেমির সদস্য নন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এই একাডেমিটা এমনভাবে আখড়া বানানো হয়েছে- একটা বিশেষ মতের একটা বিশেষ গ্রুপের লোক ছাড়া কেউ সেখানে ঢুকতে পারবে না।
তিনি বলেন, এখন একটা সংস্কারের দিকে যাব। পরিচালন পদ্ধতি, নীতিমালা যা যা করার দরকার, যাতে এটা (বাংলা একাডেমি) একটা চলমান প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, এটা যাতে জড় বস্তু হয়ে না থাকে।