একটি সাম্যের দেশ গড়তে চায় জামায়াতে ইসলামী: শফিকুর রহমান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:০৪:১২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের লোকজনের উদ্দেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সাম্যের দেশ গড়তে চায়; যেখানে সকল ধর্মাবলম্বীর লোকজন আতঙ্কে থাকবে না। তারা এদেশে বসবাস করবে মর্যাদার সাথে। কেউ তাদের জানমাল এবং ইজ্জতে হাত দিবে না। সেইসাথে তিনি সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছাতে জামায়াতের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মী সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান। জেলা সেক্রেটারি ড. এনামুল হকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ ও অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো: দেলোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদের আশ্বস্ত করতে চাই, তোমরা যে বাংলাদেশের স্লোগান দিয়ে বলেছিলে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, আমরা তোমাদের সাথে আছি। তোমাদের অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তোমরা আমাদের অহংকার আমাদের গর্ব। আগামির বাংলাদেশ আমরা তোমাদের হাতে তুলে দিতে চাই। আমরা তোমাদের পাশে থেকে সহযোগিতা করতে চাই, দোয়া করতে চাই। মরার আগে দেখে যেতে চাই আমার প্রিয় বাংলাদেশ সাম্য এবং সৌহার্দ্যরে বাংলাদেশ। আমার প্রিয় বাংলাদেশ একটি মানবিক বাংলাদেশ। এই মানবিক বাংলাদেশের জন্যই আমাদের সংগ্রাম এবং সাধনা। সমবেতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সংগ্রামে আপনাদের পাশে চাই, সাথে চাই।
জামায়াতের আমীর বলেন, ছাত্র-জনতার লড়াই আর মজলুমানের চোখের পানির ফোটার কারণে আমরা এই নতুন দেশ পেয়েছি। বন্ধুদের আহ্বান জানাই এমন কথা এমন আচরণ না করি-যাতে আমাদের সন্তানরা মনে কষ্ট পায়।
কর্মী সম্মেলনে একজন হিন্দু ধর্মালম্বী অধ্যক্ষের বক্তব্যের সূত্র ধরে আমীরে জামায়াত বলেন, এখানে একজন হিন্দু ধর্মের সম্মানিত নেতা ভাই একটা কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন; তিনি বলেছেন এমন একটা বাংলাদেশে আমরা বসবাস করতে চাই, যে বাংলাদেশে আমাদের আর আতঙ্কে থাকতে হবে না। আমি তাদের বলি কারা আতঙ্কমুক্ত বাংলাদেশ দিতে পারবে, সেই দলটাকে খুঁজে বের করুন। যারা বিগত ৫৪ বছরে আপনাদের জমাজমি দখল করেনি, আপনাদের সম্পদ লুন্ঠন করেনি, আপনাদের ইজ্জতের ওপর হাত দেয়নি। সেই দলকে আপনারা খুঁজে বের করুন। একটু বিবেকের চক্ষু দিয়ে খুঁজে দেখলেই, তাদের পেয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি খুব বেশি দূরে যাবো না। এখন থেকে মাত্র ছয় মাস পেছনে যাবো। ৫ আগস্ট এই দেশে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। কেউ বলছে গণবিপ্লব, কেউ বলছে গণঅভ্যুত্থান। যে যেভাবেই বলুক আমরা প্রথমদিন থেকেই সচেতন ছিলাম। একটা কুচক্রী মহল যাদের বরাবরই খাসলত খারাপ; তারাই আবার সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। এজন্য আমাদের সহকর্মী এবং দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছিলাম, সতর্ক করেছিলাম। ধৈর্য ধরুন, শান্ত থাকুন। শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করুন। এর আগে ওবায়দুল কাদের সাহেব কয়েকবার বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিদায় নিলে তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হাতে ক্ষমতা থেকে বিদায় কিংবা পালানোর দুই দিনের ভেতর তাদের ৫ লাখ নেতাকর্মীকে খুন করা হবে। তিনি প্রশ্ন রাখেন তাদের ৫ লাখ নেতাকর্মী কী খুন হয়েছে? মাঠ থেকে জবাব আসে ‘না’। তিনি বলেন, হয়নি এই কারণে যে, আওয়ামী লীগের হাত রক্তে লাল থাকতে পারে, তাদের চোখ খুনের নেশায় সব সময় মাতাল হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের সকল জনগণ তাদের মতো নয়। এদেশের জনগণ তাদের দেশকে ভালবাসে, দেশের মাটিকে ভালবাসে। এজন্য তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। এরপরও দুয়েকটা খুনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা এর নিন্দা করেছি। আমরা চাই না, বিনা বিচারে যেই ধর্মের মানুষই হউক না কেন, তাদের একজন মানুষকেও খুন করা হউক। কেউ দোষী হলে বিচারের মাধ্যমে হবে। তবে বিচারের নামে অবিচারের মাধ্যমে নয়। সুবিচারের মাধ্যমে কেউ যদি অপরাধ করে তাকে শাস্তি দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিস্ট সরকার সুবিচারকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। এজন্যই বিচারপতিরা দম্ভভরে বলতে পেরেছিল ‘আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ।’ তাদের এই কথার যারা প্রতিবাদ করেছিল, পরবর্তীতে সেই আইনজীবীদের হেনস্তা করা হয়েছে। অথচ এই আইনীজীবীদের পুরস্কৃত করার কথা ছিল। এরা বার বার বলে আসছে যে, সাম্প্রদায়িক দেশ নয়, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে চাই। তিনি প্রশ্ন রাখেন যারা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়বে, এরা কেন লুন্ঠন করে? এরা কেন ইজ্জতের ওপর হাত দেয়? এরা কেন আমাদের ভাই বোনদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে? এরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের প্রবক্তা নয়। বরং এরাই বাংলাদেশের স্বীকৃত ডাকাত।
আমরা বর্তমান সরকারকে বলি- আপনারা অনেক সংস্কারের ব্যাপারে হাত দিয়েছেন। যত দ্রুত সম্ভব এইসব সংস্কার করুন। তবে আরেকটা বিষয়ে হাত দেন। এটা নিরপেক্ষ সরকার করতে পারবে; দলীয় সরকার হয়তো পারবে না; তাহলো বিগত ৫৪ বছর যাবৎ বাংলাদেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যাদের হাতে নির্যাতিত হয়েছে, যাদের ওপর জুলুম করা হয়েছে, সেটা খুন ধর্ষণ লুটপাট দখল চাদাবাজি যা-ই হউক না কেন; এদের নামের কালো তালিকা প্রকাশ করে দেন। এরা কারা জনগণ তাদের চিনে নিক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কোন জায়গায় কোন কিছু ঘটলেই জামায়াতে ইসলামীকে দোষ দেয়। এটা তাদের বদ খাসলত। এরা জাগরণেও জামায়াতকে ভয় পায়, ঘুমের মধ্যেও জামায়াতকে ভয় পায়। জামায়াতের নীতি আদর্শকে ভয় পায়। এই ভয়ের জায়গা থেকে ঘায়েল করতে চায় আমাদের। নিজেরা অপকর্ম করে তার দায় আমাদের ওপর চাপায়। তিনি প্রমাণ হিসেবে বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জের মৎস্য পল্লী, যেখানে হাসিনার জামাই ওয়াজেদ মিয়ার বাড়ি। সেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভাইবোনদের একটা পল্লী ছিল। সেই পল্লীতে গিয়ে প্রথমে গরু চুরি করলো। তারপরে সম্পদ লুন্ঠন করলো। তারপর তাদের ঘরগুলোতে আগুন জ্বালিয়ে দিলো। সাথে সাথে কোন বাছ বিচার না করে ক্ষমতার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বলে দেওয়া হলো এটা জামায়াত শিবিরের লোকেরা করেছে। তদন্ত ছাড়াই বলে দিলো। যুক্তি দিলো পাশে মিঠাপুকুর উপজেলা। সেখানে জামায়াত শিবিরের ঘাঁটি। এই কারণে এটা করেছে। মাত্র তিনদিনের মাথায় সাহস করে সেই পল্লীর মজলুম ভাইবোনেরা বলে দিলো জামায়াত শিবির এখানে আসেওনি এগুলো করেওনি। যুবলীগের অমুক নেতার নেতৃত্বে এগুলো হয়েছে। এই মামলা চলে গেলো সাইবেরিয়ার হিমাগারে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পানিতে কোপ দিলে দা এসে নিজের হাঁটুতে লাগে। হাঁটু বাঁচানোর জন্য মামলা-ই খতম। তিনি আরেকটি উদাহরণ টেনে বলেন, আপানারা গাইবান্ধায় দেখেছেন, সুন্দরগঞ্জের এমপি ছিলেন লিটন সাহেব। তাকে কে বা কারা তার বাড়ির পাশে শুট করে খুন করেছে। সাথে সাথেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে বলে দিলেন, একাজ করেছে জামায়াত শিবির। যুক্তি হলো জামায়াতের তৎকালীন আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের জনসভায় লিটন বাঁধা দিয়েছিল। এর প্রতিশোধ এতদিন পর জামায়াত শিবির নিয়েছে। দিন শেষে পুরো তদন্তে জানা গেল, জামায়াত শিবিরের কোন সম্পর্ক এটার সাথে ছিল না। বরং তাদেরই ক্ষমতার পার্টনার যিনি ওই আসনের সাবেক এমপি ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক অফিসার পিস্তল দিয়ে গুলি করে তার রাস্তা পরিষ্কার করেছেন।
তারা বারে বারে বলতেন আমাদের, বিনা টিকিটে অমুক দেশে চলে যাও। আরে একটা ভিসাতো দিবেন, টিকিটতো দিবেন। টিকিট ভিসার ব্যবস্থা না করে বলে, অমুক দেশে চলে যাও। আপনারা কোন ভিসা এবং কোন টিকিট নিয়ে এদেশ থেকে চলে গেলেন? প্রশ্ন রাখেন ডা. শফিকুর রহমান। আমরাতো বলিনা দেশ ছেড়ে চলে যান। আমরা এটা বলবোও না। বাংলাদেশের সকল নাগরিকের বাংলাদেশে বসবাস করার বৈধ অধিকার রয়েছে। আমরা কথা পরিষ্কার করতে চাই, এখানে বিভিন্ন ধর্মের ভাইবোনেরা আছেন। আমরা বাংলাদেশে মেজরিটি মাইনরিটি মানিনা। আমরা বিশ^াস করি এই দেশের বুকে যে-ই জন্ম নিয়েছে, বাংলাদেশের সংবিধান তাদের সমান অধিকার দিয়েছে। সুতরাং তিনি একজন মর্যাদাপূর্ণ নাগরিক। আপনারা নিজেদের কখনো নিজেদের মাইনরিটি মনে করবেন না। মাইনরিটি বলে বলেই আপনাদের ওপর এতদিন অত্যাচার হয়েছে। আপনারা আমাদের ভাইবোন। আমরা সহমর্মিতার সাথে গর্বের সাথে আপনাদের নিয়ে বাংলাদেশে বসবাস করতে চাই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে দেখা হবে না কে কোন ধর্মের। দেখা হবে তারা কোন্ দায়িত্বের উপযুক্ত। যিনি যেই দায়িত্বের উপযুক্ত তার কাছে সেই দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে।
ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, তরুণ সমাজকে আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপানো হয়েছে কালের পর কাল যুগের পর যুগ। এখন তারা বুঝেছে এগুলো সব ছিল দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র। এই যুবকদেরকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গালি দিয়েছিলেন। সেই গালির প্রকৃত জবাব তিনি পেয়ে গেছেন। তিনি দেশের প্রত্যেকটা খুনের বিচার দাবি করে বলেন, খুনের বিচার না হলে খুন বন্ধ হবে না। লুটপাটের বিচার না হলে লুটপাট বন্ধ হবে না। চাঁদাবাজদের বিচার না হলে চাঁদাবাজি বন্ধ হবে না। ঘুষখোরের বিচার না হলে ঘুষখুরি বন্ধ হবে না। সুতরাং সকল অন্যায়ের বিচার হতে হবে। এ বিচার আমরা দাবি করি। কিন্তু আইন কেউ হাতে তুলে নিক সেটাও পছন্দ করি না। বিচার করতে গিয়ে কোন অবিচার হউক সেটাও আমরা চাই না। আমরা চাই ন্যায় বিচারের মধ্য দিয়ে যার যেটা পাওনা সেটা পেয়ে যাক। এরকম একটা বাংলাদেশ আমরা গড়তে চাই।
এর আগে সকালে মাওলানা তাজুল ইসলামের অর্থসহ কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কর্মী সম্মেলন শুরু হয়। কর্মী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবের শহীদের পিতা মো: ফারুক হোসেন, তিনি শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
কর্মী সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও শহর সভাপতি মো: মুশফিকুর রহমান, দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা আমীর, মাওলানা মো: হাবিবুর রহমান, কাহারোল উপজেলা আমীর মাওলানা তরিকুল ইসলাম, খানসামা উপজেলা আমীর মাওলানা মো: আনিসুর রহমান, বিরল উপজেলা আমীর হাফেজ মো: আব্দুর রশিদ, ঘোড়াঘাট উপজেলা আমীর, মো: মোফাখখায়ের ইসলাম মোল্লা, পাবর্তীপুর উপজেলা আমীর ইউসুফ আলী, বিরামপুর উপজেলা আমীর মো: হাফিজুল ইসলাম, নবাবগঞ্জ উপজেলা আমীর অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, চিরিরবন্দর উপজেলা আমীর মো: রাশেদুল হক, হাকিমপুর উপজেলা আমীর মাওলানা আমিনুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা আমীর মাওলানা মো: আমিনুল হক, বীরগঞ্জ উপজেলা আমীর ক্বারী আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা আমীর মোঃ মেহরাব আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর তুরাগ থানা আমীর মো: মতিউর রহমান, শহর আমীর মো: সিরাজুস সালেহীন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা মুজিবুর রহমান, জেলা ইউনিট সদস্য অ্যাড. মাইনুল আলম, জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: সাজিদুর রহমান সাজু, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো: তৈয়ব আলী, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মো: আলমগীর হোসেন, মো: আনোয়ার হোসেন, মো: জাকিরুল ইসলাম, মো: সহিদুল ইসলাম খোকন, অধ্যাপক আ স ম ইব্রাহীম,মাওলানা রবিউল ইসলাম, অধ্যক্ষ একেএম আফজালুল আনাম, অ্যাড. মাহবুবুর রহমান ভুট্টো, দিনাজপুর জেলা উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো: রাসেল রানা প্রমুখ।