বাঘা ইউনিয়নে আধুনিক কারিগরি ও ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র নির্মাণে বড় অগ্রগতি
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১:১৬:১১ অপরাহ্ন
বায়না দলিল সম্পন্ন, ১ কোটি টাকার অনুদান সংগ্রহ
লন্ডন অফিস: বাঘা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন ইউকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের উন্নয়নে একটি আধুনিক কারিগরি ও ইসলামিক শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বোরহান উদ্দিন রোড সংলগ্ন ২০.১৫ ডিসিমেল জমি ক্রয়ের বায়না দলিল ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভবন নির্মাণের জন্য ১ কোটি টাকার অনুদানের প্রতিশ্রুতি সংগৃহীত হয়েছে, যা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বড় ধাপে অগ্রগতি হিসাবে বিবেচিত।
গত ১৩ জানুয়ারি, সোমবার, পূর্ব লন্ডনের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সংগঠনের কার্যকরী ও উপদেষ্টা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুজিবুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন। সভায় উপস্থিত সদস্যরা প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
সভায় জানানো হয়, এই শিক্ষা কেন্দ্রটি বাঘা ইউনিয়নের যুবসমাজের জন্য আধুনিক ও কারিগরি জ্ঞান অর্জনের পথ উন্মুক্ত করবে। একইসঙ্গে এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া সভায় সংগঠনের সদস্য ফি ১০০ পাউন্ডে বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, যা ভবিষ্যৎ প্রকল্পগুলোর জন্য আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সহায়তা নিশ্চিত করবে। নেতৃবৃন্দ সকলকে আহ্বান জানান, এই মহৎ উদ্যোগ সফল করতে তারা যেন একযোগে এগিয়ে আসেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা আতিক উদ্দিন, উপদেষ্টা নুরুল হক শাহ বাবুল, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল আহাদ, সহ-সভাপতি ইসলাম উদ্দীন, সহ-সভাপতি হাফেজ সহির উদ্দিন, সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রশিদ সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ তাজ উদ্দিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাসান আহমেদ, ফান্ডরাইজিং সেক্রেটারি নুরুল আলম, সদস্য বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা জাফর ইকবাল, ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জুয়েলসহ অন্যান্য নির্বাহী সদস্যরা।
সংগঠনের নেতারা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ বাঘা ইউনিয়নের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে। এটি শুধু শিক্ষার প্রসারেই নয়, কর্মসংস্থান ও সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তারা বলেন, “এই প্রকল্প বাঘা ইউনিয়নের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে দাঁড়াবে। এটি আমাদের তরুণদের ক্ষমতায়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক হবে।”
সংগঠনের পক্ষ থেকে বাঘা ইউনিয়নের সকল মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়, তারা যেন এই মহৎ উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেন। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রকল্প সফল হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।