ডিমসহ যেসব খাবার খেলে লম্বা হওয়া যায় জানালেন পুষ্টিবিদ
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৫:২৯ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের বেশিরভাগে জোগান দেয় ডিম। বিভিন্ন গবেষণা সূত্রে জানা গেছে, ডিম আপনার শারীরিক উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে ডিম খাওয়ানো যায়, তাহলে তার উচ্চতা নিয়ে কোনোদিন ভাবতে হবে না।
শরীরে প্রোটিনের জোগান দেয় ডিম। আর ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। সেই সঙ্গে ডিমে রয়েছে ভিটামিন৬, ভিটামিন১২, ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, সোডিয়াম, থিয়ামিন, আয়রন, জিংক, ভিটামিন ডিসহ নানা উপকারী উপাদান। গবেষকরা বলছেন— ডিম উচ্চতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে ডিম খাওয়ানো যায়, তাহলে তার উচ্চতা নিয়ে কোনো চিন্তা থাকবে না। এমনটিই বলেছেন ভারতের বিখ্যাত পুষ্টিবিদ চৈতালি মণ্ডল।
চৈতালি মণ্ডল আরও বলেন, ডিমের সঙ্গে উচ্চতার একটি সম্পর্ক রয়েছে। ৩০ পেরোনো কেউ যদি এখন লম্বা হওয়ার আশায় ডিম খেতে শুরু করেন, তাহলে সেই ইচ্ছে পূরণ হবে না। কারণ বাড়ন্ত বয়সে যদি শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডিম খাওয়ানো যায়, তা হলে উচ্চতা বাড়বেই। ডিমে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা উচ্চতা বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন একটি করে ডিম যদি শিশুকে খাওয়ানো যায়, তা হলে উপকার পাওয়া যাবে। তবে শুধু ডিম খাওয়ালে চলবে না। পাশাপাশি আপনার সন্তানকে দৌড়ঝাঁপও করাতে হবে। তিনি বলেন, ডিম খাওয়া তো নিঃসন্দেহে ভালো।
তবে ডিম ছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। যেমন—
দুধ
আপনার শিশু দুধ না খেতে চাইলেও প্রতিদিন দুধ খাওয়াতে হবে। দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে, যা হাড় মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দুধ প্রোটিনেরও ভালো উৎস। প্রোটিন কোষ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধিতে দুধ খুবই সহায়ক। দুধ ছাড়াও পনির, টক দই, চিজও খাওয়ানো যেতে পারে।
কলা
কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে যা আমাদের হাড় মজবুত করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন কে যা আমাদের দৈহিক বিকাশে সহায়তা করে। কলা অনেকেরই পছন্দের ফল বিশেষ করে বাচ্চাদের। কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনও থাকে এতে রক্তাল্পতা হয়ে আমাদের শারীরিক গঠনে বাধার সৃষ্টি হতে পারে না।
সয়াবিন
সয়াবিনে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে, যা দেহের কোষ ও হাড়ে গঠনে সহায়তা করে। তাই শিশুদের প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় অবশ্যই সয়াবিন রাখুন।
শাকসবজি
মেথি, পালংশাক, বাঁধাকপির মতো সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ক্যালশিয়াম, আয়রন ও ম্যাগনেশিয়ামে রয়েছে। এসব উপাদান শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
দই
দুধের তৈরি খাদ্য বলে দইতেও প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। এর পাশাপাশি এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম থাকে। দইয়ে বিদ্যমান প্রোবায়োটিক আমাদের মেটাবলিসম বাড়িয়ে উচ্চতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এছাড়াও দই হজমে সহায়তা করে আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেম বিল্ড আপ করে। প্রতিদিন খাবার পরে দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।