২৮ ছাত্র সংগঠনের সভা, জাতীয় ঐক্য ভাঙলে দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮:০২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট জাতীয় ঐক্য যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তাহলের এর দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলসহ ২৮ টি ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার রাতে কাটাবনে ছাত্রদলসহ ২৮ টি সংগঠনের মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ এই কথা বলেন। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ২৮ টি ছাত্র সংগঠন দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়।
মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক পরিবেশ, ছাত্র সংসদ নির্বাচন, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকাসহ সম সাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।’
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মতবিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকার সমালোচনা করে বলেছেন, ‘অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোকে অপরায়নের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। অভ্যুত্থানে হাজারো জনতার রক্তের ওপরে যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছিল গোষ্ঠীগত স্বার্থ উদ্ধারে ব্যবহারের কারণে তা ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আমরা মনে করি, অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে গড়ে ওঠা এই জাতীয় ঐক্যে যদি ভাঙনের সৃষ্টি হয় তার দায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব কোনোভাবেই অস্বীকার করতে পারবে না।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, মতবিনিময় সভায় ছাত্র নেতৃবৃন্দ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বলেছেন, ‘দখলদারিত্বমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস, শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র ও সংগঠনের অধিকার চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করতে ও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তুলব। সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে (১৯৭৩ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ ও ছাত্র সংসদের গঠনতন্ত্রের সংস্কার শেষে) সংস্কার কমিশন গঠন করে সংস্কার শেষে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।’
সভায় অংশ নেওয়া ছাত্র সংগঠনগুলো হলো-বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, ছাত্র আন্দোলন ( এনডিএম), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জেএসডি), জাতীয় ছাত্র সমাজ (জাফর), জাগপা ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ভাসানী ছাত্র পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), নাগরিক ছাত্র ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্র সমাজ (পার্থ), ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র মজলিস, বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ, রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম ছাত্রলীগ (নুর আলম), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলন।