ভারত চীন রাশিয়াকে সতর্ক করলেন ট্রাম্প
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৫৬:৪০ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন বলয় থেকে বেরিয়ে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতির সম্প্রসারণ ঘটাতে চায় ব্রিকস। ৯টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত এই সংগঠনটি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে আলাদা মুদ্রা চালু করতে চায়। যা দিয়ে নিজেদের মধ্যে পণ্য লেনদেন করবে তারা। সবশেষ অক্টোবরে ব্রিকসের বৈঠকে এমন আলোচনায় একাত্মতা পোষণ করেছে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ ব্রিকসের বাকি দেশগুলো।
ব্রিকসের এমন আলোচনার ঘোর বিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিকসের এই নীতির বিরোধিতা করে ভারত, চীন, রাশিয়াসহ বাকি দেশগুলোকে সতর্কবাণী দিয়েছেন তিনি। যেখানে এই দেশগুলোর ওপর কড়া শুল্ক আরোপের পক্ষে মত তার।
ধারণা করা হচ্ছে ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্প ক্ষমতায় বসার পরপরই শুল্ক যুদ্ধের দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখবে পাবে বিশ্ব। ব্রিকসের সদস্য দেশগুলোর ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। তবে সেটি তখনই হবে যদি মার্কিন ডলারের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক লেনদেনে অন্য মুদ্রার ব্যবহার করে দেশগুলো।
এক অনলাইন পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘ব্রিকস দেশগুলো আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ডলার থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে, সেই ধারণাটি শেষ হয়ে গেছে। এই দেশগুলোর কাছ থেকে আমাদের একটি প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন যে, তারা নতুন ব্রিকস মুদ্রা তৈরি করবে না। বা শক্তিধরদের প্রতিস্থাপনের জন্য অন্য কোনো মুদ্রা ফিরিয়ে দেবে না। তবে সেটি হলে তারা ১০০% শুল্কের সম্মুখীন হবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে ব্রিকস দেশগুলি অন্য একটি মুদ্রার সন্ধান করতে পারে, তবে তারা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে ডলারকে অন্য মুদ্রার মাধ্যমে প্রতিস্থাপন করতে সক্ষম হবে না। কারণ যে দেশ চেষ্টা করবে আমেরিকাকে বিদায় জানাতে হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও এমন কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করতে শুল্ক পরিকল্পনা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন তিনি। জানিয়ে ছিলেন, আমরা সাধারণত শুল্ক চার্জ করি না। আমি সেই প্রক্রিয়াটি শুরু করেছিলাম। কাভার ভ্যান এবং ছোট ট্রাকের ওপর এটি খুব দুর্দান্ত ছিল। চীন আমাদের ওপর ২০০ শতাশং চার্জ করে। শুল্কের দিক দিয়ে ব্রাজিলও একটি বড় চার্জার।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে নিজের গভীর সম্পর্কের কথা জানালেও শুল্ক চার্জ নিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘সকলের মধ্যে সবচেয়ে বড় চার্জার হল ভারত। তারা সম্ভবত অনেক উপায়ে চীনের চেয়ে বেশি চার্জ নেয়। কিন্তু তারা হাসিমুখে এটা করে। তারা বোঝায় এটা খুব সামান্য চার্জ। তারা বলে ভারত থেকে কেনার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।’