টাওয়ার হ্যামলেটসের উদ্যোগে লন্ডনে মাসব্যাপী নাট্যোৎসব
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ২:২৯:২১ অপরাহ্ন
নিলুফা ইয়াসমীন হাসান, লন্ডন: বিনোদনের শক্তিশালী মাধ্যম নাটক মানুষের আত্মিক উন্নয়ন এবং সমাজ সংস্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাঙালির সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্যে নাটক হলো অন্যতম। এখনকার ডিজিটাল যুগেও কার্যত অপ্রতিদ্বন্দী নাটক।
বাংলা সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে তুলে ধরার প্রয়াস নিয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী নাট্যোৎসব। এবারের নাট্যোৎসবের প্রতিবাদ্য বিষয় হলো Hope (আশা)। আশা ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। এবারের নাটকগুলো দর্শকদের অন্ধকার থেকে আলোতে আসার আশার বাণী শোনাচ্ছে।
দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের উদ্যোগে একটানা উদযাপিত হয়ে আসছে ‘এ সিজন অব বাংলা ড্রামা‘। প্রতি বছরের ন্যায় পহেলা নভেম্বর শুরু হওয়া এই উৎসব চলবে ২৪শে নভেম্বর পর্যন্ত।
এই নাট্যোৎসব শুধুমাত্র লন্ডনেই সীমাবদ্ধ থাকে না। এতে যোগ দেবার জন্যে লন্ডনের বাইরে থেকেও অসংখ্য নাট্য দল অংশগ্রহণ করে থাকে এবং একটি সিলেকশন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ ঘটে। প্রতি বছর নাট্য সংঠনগুলো নতুন নতুন বিষয়বস্তুর নাটক নিয়ে দর্শকের মাঝে উপস্থিত হয়, এবছরেও তার ব্যাতিক্রম ঘটে নি। মাসব্যাপী আয়োজনে প্রায় প্রতিদিন রয়েছে নাটকসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বারার উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলা নাট্যোৎসব আছে নাটক, সেমিনার, আলোচনা, গল্পবলা, ওয়ার্কসপ, চিত্রপ্রদর্শনী, নৃত্য, নৃত্যনাট্য বিতর্কসহ নানা সাংস্কৃতিক কর্মসূচী। এতে অংশ নিয়েছে মঞ্চশৈলী, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র ইউকে, ট্রিওআর্টস, মুক্তমঞ্চ, বাংলা মূভমেন্ট থিয়েটার, কুইন অব আর্টস থিয়েটার কোম্পানি, অদিতি ডান্স সিআইসি, থিয়েটার শৈশব, দক্ষিণায়ন ইউকে, সুরবন্ধন, রোকেয়া প্রজেক্ট, ম্যাসেজ কালচারাল গ্রুপ, আয়না আর্টস, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইন্সটিটিউট, আবিনা গ্যালারী অব ফাইন আটর্স, সেন্টার স্টেইজ, মহিলা অঙ্গন, ব্রিটিশ বাইল্যাঙ্গুয়েল পয়েট্রি কালেক্টিভ, সৌধ সোসাইটি অব পয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক, স্বাধীনতা ট্রাস্ট, দিদেলাস থিয়েটার কোম্পানি, ব্রিট বাংলাসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
বৈচিত্রপূর্ণ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিবেশিত হচ্ছে টাওয়ার হ্যামলেটসের বিভিন্ন হল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে হ্যানবারী স্ট্রিটের ব্রাডি আর্টস সেন্টার, বেথনাল গ্রীনের রিচমিক্স, মাইল এন্ডের ক্লিনটন রোডের আর্ট প্যাভেলিয়ান, হ্যানবারী স্ট্রিটের কবি নজরুল সেন্টার, মাইল এন্ডের গ্রোভ রোডের ইকোলজি প্যাভেলিয়ান, মাইল এণ্ড রোডের আর্টস ওয়ান, বো রোডের রুট, ওল্ডফোর্ড রোডের সেন্ট মার্গারেটস ও টাওয়ার অব লন্ডনের হলে।
পূর্ব লন্ডনের ব্রাডি আর্টস সেন্টারের থিয়েটার হলে পহেলা নভেম্বর উদ্বোধনী দিনে সন্ধ্যা ৭টায় ছিল ‘মঞ্চশৈলী’ নাট্য সংগঠনের প্রযোজিত নাটক ‘দি থিভস অব হোয়াইটচ্যাপেল’।
নাটক শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রেস্টলেস বিয়িংয়ের রহিমা বেগম, হেড অব আর্টসের ক্যাথারিন বইড, ড্রামা ডির্পাটমেন্টের মজিসলা এডিবইও, লীড মেম্বার অব কালচারাল এন্ড রিক্রিয়েশন-এর কাউন্সিলার কামরুল হোসেইন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টাওয়ার হ্যামলেটসের নাট্যবিভাগের কর্মকর্তা কাজী রোকসানা বেগম। শুরুর প্রাক্কালে লেবাননী তরুণী আবু লায়লা প্যালেস্টাইনের মুক্তি সংগ্রাম ভিত্তিক স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। নাটক ‘দি থিভস অব হোয়াইটচ্যাপেল’ নাটকটি লিখেছেন কথাসাহিত্যক ও নাট্যকার সাঈম চৌধুরী। পরিচালনা করেন রাজীব দাশ, সহপরিচালক ছিলেন রুহুল আমিন। উদ্বোধনী সন্ধ্যায় টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয় অতিথি ও দর্শক-শ্রোতাদের সম্মানে নৈশভোজ।
২ নভেম্বর মঞ্চস্থ হয় ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মঞ্চায়নে শিশুশিল্পীদের অভিনীত ‘হোপ, হ্যাপিল্যান্ড’। নাটকটি লিখেছেন নাট্যকার বুলবুল হাসান। সহযোগী ক্ষুদে লেখক ছিলেন সিরিনা, ইয়াসনা, রামিরা, আধ্যিয়াত, অনিন্দিতা, সারথি, ইয়ামীর ও সায়মা। পরিচালনা করেন সৈয়দা সায়েমা আহমেদ।
৩ নভেম্বর মঞ্চস্থ হয় লীডসের ‘মুক্তমঞ্চ’ নাট্য সংগঠনের ‘আশার ধ্বনি শুনি’। নাটকটি লিখেছেন রাশিদ গায়েন, পরিচালনা করেন আশরাফ চৌধুরী মিঠু। এছাড়া ৩রা নভেম্বর আরেকটি বিশেষ আয়োজনের মধ্যে ছিল ‘শাড়ী’ প্রদর্শনী ও বিক্রয়। দুপুর ১টা থেকে ব্রাডি আর্টস সেন্টারের মূল হলে আয়োজিত এ শাড়ী মেলায় অংশ নেয় বাঙালি নারীদের ব্যবস্থাপনায় ৮টি স্টল। সঙ্গে ছিল কয়েকটি বাঙালি খাবারের দোকান। মনোমুগ্ধকর এ প্রর্দশনী ও মেলায় খাদ্য রসিকরা যেমন বাঙালি মজাদার খাবার খান, তেমনি শাড়ী ক্রয়-বিক্রয়েও ছিল উল্লেখ্যোগ্য নারীর সমাগম। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি বেলা বাড়ার সাথে সাথে রূপ নেয় অনন্য মিলনমেলায়।
৬ নভেম্বর কুইমেরী ইউনির্ভাসিটির প্রিন্টার স্টুডিওতে মঞ্চস্থ হয় ‘ডোন্ট হোল্ড ব্যাক দি রিভার’। মঞ্চস্থ করে মিত্রাদয়া সংগঠন। ব্রিটেনে আসা বাংলাদেশী অভিবাসী জীবনের সংকট নিয়ে এই নাটক দর্শকের মন কাড়ে।
৭ নভেম্বর মঞ্চস্থ হয় ফারাহ বি ওয়ানের ‘কাম ওয়াশ ইউর সিনস’ ব্রাডি আটর্স সেন্টারে। নাটকের থিম ছিল বিশ্বে ক্রমাগত বেড়ে চলা জেনোসাইড ও মানবিকতার লংঘনের প্রতিধ্বনি।
‘যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ,/ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাবো জঞ্জাল,/ এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য-এর কবিতার প্রত্যয় নিয়ে ডিসমিস থিয়েটার গ্রুপের নাটক ‘ওয়ান্স ইন এ সঙ্গস’ মঞ্চস্থ হয়েছে ৮ই নভেম্বর। কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটির প্রিন্টার স্টুডিওতে মঞ্চস্থ হওয়া নাটকে অভিবাসী বাঙালি সমাজের নতুন প্রজন্মের সংকট ও সম্ভাবনা ছিল মূল থিম। ১৫ বছর বয়েসী এক তরুণীর স্বপ্ন ও পরিবারের টানাপোড়নের সংগ্রামী বৃত্তান্ত দৃশ্যমান হয় এই নাটকে।
৯ নভেম্বর ব্রাডি আর্টস সেন্টারে মঞ্চস্থ হয়েছে ট্রিওআর্টস এর প্রযোজনায় অটিজম নিয়ে দর্শকনন্দিত সমাজ সচেতন নাটক ‘আশালতা’। নাটক দেখার সময়ে আবেগে অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। অভিনয় শিল্পীরা সকলেই নিজেদের চরিত্র দারুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাটক শেষে হলভর্তি দশক দাঁড়িয়ে অভিবাদন (স্ট্যান্ডিং অভেশন) জানিয়েছেন। সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন ও অসামান্য প্রতিভার অধিকারী স্যার আইজ্যাক নিউটন এই দুই মহাবিজ্ঞানী অটিজম সমস্যায় ভুগছিলেন। আশালতা নাটকে তুলে ধরা হয়েছে সুযোগ পেলে অটিজম শিশুও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে পারে।
ট্রিওআর্টস এর প্রযোজনায় ‘আশালতা’ লিখেছেন শায়লা শারমিন এবং নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় ছিলেন রুবাইয়াৎ শারমিন ঝরা। এই নাটকের প্রধান দুটি চরিত্রে আশা একজন কেয়ারার এবং সামীর একজন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। তাদের দুজনের সম্পর্কের মাধ্যমে শায়লা শারমিন দেখাতে চেয়েছেন মানুষ কিভাবে পরগাছার মতো একে অপরের উপর অবলম্বন করে বেঁচে থাকে এবং অসহায় মানুষও সুযোগ পেলে সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পারে। পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ পেলে একজন অটিসটিক শিশুও হয়ে উঠতে পারে সমাজ ও দেশের সম্পদ।
সাহিত্য ও ইতিহাস নির্ভর পূর্ণাঙ্গ নাটক উপহার দেন ড. মুকিদ চৌধুরীর পরিচালিত ‘দি বাংলা মুভমেন্ট থিয়েটার আটর্স’ গ্রুপ। এই গ্রুপের ‘ওয়ারিওর’ বা ‘যোদ্ধা’ মঞ্চস্থ হয়েছে ১০ নভেম্বর ব্রাডি আটর্স সেন্টারে। ‘যোদ্ধা’ নাটকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে নির্মিত কাহিনি ছিল ত্রিপুরা ও খোয়াই রাজ্যের অর্ন্তঘাত, বিশ্বাঘাতকতার বিনির্মিত নতুন এক আখ্যান। বিশ্বরাজনীতি এবং বাংলাদেশের অর্ন্তঘাতমূলক রাজনীতির ছায়া প্রতিফলিত হয়েছে পুরো নাটকে। নাটকের ভাষা, সংলাপ ও অভিনয় ছিল হৃদয়গ্রাহী ও উপভোগ্য।
এদিকে, নাটক ছাড়াও ২রা নভেম্বর ‘সেন্টার স্টেইজ’ উপস্থাপন করে ‘ইউজ ইওর ওয়ার্ডস’। পরিবেশিত হয় কুইনমেরী ইউনিভার্সিটির প্রিন্টার স্টুডিওতে। কবিতা ও শব্দের ব্যবহার নিয়ে কথন ছিল পুরো অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রার একটি পরিবেশনা।
৩ নভেম্বর কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটির পিন্টার স্টুডিওতে কবি শামীম আজাদ ও মি. মাইকের উপস্থাপনায় ‘ব্রিটিশ বাইলেঙ্গুয়াল পয়েট্রি কালেক্টিভ’র ‘হোপ উইথ ট্যাগুর’ কাব্যপাঠ, সঙ্গীত, কবিতাচর্চা ও অনুবাদ ওয়ার্কসপ অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণ করেন বাঙালি, শ্বেতাঙ্গসহ আফ্রো-এশিয়ান সংস্কৃতিকর্মী, কবি ও লেখকবৃন্দ।
৫ নভেম্বর ‘ডিভেইট: আর ফেইরী টেইলস লাইজ অর হোপস’ উপস্থাপন করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব বুলবুল হাসান। বিতার্কিকদের অংশগ্রহণে এ অনুষ্ঠানটি কুইনমেরী ইউনির্ভাসিটির প্রিন্টার স্টুডিওতে অনুষ্ঠিত হয়। সৃজনশীল এ পরিবেশনা মুগ্ধ করে দর্শক ও শ্রোতাদের।
৯ ও ১০ নভেম্বর ছিল ‘সৌধ, সোসাইটি অব পয়েট্রি এন্ড ইন্ডিয়ান মিউজিক’ পরিবেশিত পয়েট্রি নিয়ে দুটি উপস্থাপনা। ৯ নভেম্বর ‘ইন সার্চ অব দি সউল অব সিলভিয়া প্লাথ’ আধুনিক ইংরেজী সাহিত্য ও কবিতায় সিলভিয়া প্লাথের সৃষ্টি ও দর্শন সম্বলিত কাব্যপাঠ এবং মিউজিক। কবি টি এম কায়সারের উপস্থাপনায় উঠে আসে ইংরেজি সাহিত্যের বিশ্বমাত্রিকতা। আয়োজনটি ছিল বেথনালগ্রীনের রিসমিক্স থিয়েটার হলে। দ্বিতীয়টি অনুষ্ঠিত হয় হ্যানবারী স্ট্রিটের কবি নজরুল সেন্টারে। বিষয় ছিল ‘রি-রিডিং লোরকা, নজরুল এন্ড হিকমত’। বিশ্বমাত্রিক এই তিন কবির সৃষ্টি নিয়ে কথা ও পাঠ বোদ্ধা শ্রোতাদের উপস্থিতিতে ছিল মনোগ্রাহী।
উল্লেখ্য, সিজন অব ড্রামা’র প্রথম দিন থেকে শুরু হয়েছে চিত্র প্রদর্শনী। বাংলাদেশী চিত্রশিল্পীদের আঁকা চিত্র ব্রাডি আর্টস সেন্টারের ভেতরের হলরুমের দেয়াল বর্ণিল চিত্রে রাঙিয়ে উঠেছে। দর্শকরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন ও উপভোগ করছেন। প্রতিটি চিত্রে রয়েছে বাংলার প্রকৃতি ও জীবন বৈচিত্রের নানা রূপ।
কবিতাপাঠসহ অনুষ্ঠানগুলোর বৈশিষ্ট ছিল দ্বি-ভাষিক। ইংরেজি ও বাংলা বা বাইলেঙ্গুয়েল হওয়ায় নতুন প্রজন্মের অভিনয় ও দর্শক সারিতে অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বাঙালি অভিবাসন ও বাংলা এবং বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে ব্রিটিশ-বাঙালিদের মনোযোগ লক্ষ্য করার মতো ছিল। দর্শনীর বিনিময়ে অনুষ্ঠিত নাটক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালায় মূলধারার শ্বেতাঙ্গসহ অন্যান্য আফ্রো-ক্যারভিয়ান ও এশিয়ান দর্শকের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে এবারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২৪ নভেম্বর নাট্যোৎসবের সমাপনি দিনে ‘আয়না আর্টস’ এর পরিবেশনায় ‘ঘূর্ণী’ নাটকের দুইটি শো মঞ্চস্থ হবে, বিকাল সাড়ে পাঁচটা এবং সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়। নাটকটি লিখেছেন জেসমিন চৌধুরী এবং পরিচালনা করেছেন অপু চৌধুরী।