পিলখানা হত্যাকাণ্ড: পুনঃতদন্ত বিষয়ে জানতে চান হাইকোর্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন অবশ্যই হবে
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯:৪৪ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের রাজধানী ঢাকার পিলখানায় বিডিআর হত্যার নেপথ্যের কারণ উদঘাটনে পুনঃতদন্ত কমিশন হয়েছে কিনা, তা রাষ্ট্রপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছে এই তথ্য জানতে চান।
আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
বিচারপতিরা বলেন, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার নেপথ্যের কারণ জানতে চায় দেশবাসী। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুনঃতদন্তের কথা বললেও এখনও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
এর আগে, পিলখানা ট্রাজেডির পর হওয়া জাতীয় তদন্ত কমিশনের একজন সদস্য অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান নাসির বলেন, ওই সময় সরকারের হস্তক্ষেপে শুধু কাগুজে তদন্ত হয়। এর প্রতিবাদ করলে তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়। দায় এড়াতে তৎকালীন সেনাপ্রধান মঈন ইউ আহমেদ অসংলগ্ন কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দফতর পিলখানাকে রক্তে রঞ্জিত করে একই বাহিনীর কিছু সদস্য। সেই বিদ্রোহে দেশের সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।
‘বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হবে’
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, ১৫ বছর আগে রাজধানীর পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই শুরু হবে। সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদর দফতর পরিদর্শনের পর এ কথা বলেন তিনি।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
দেড় দশক আগে সংগঠিত ওই হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই হবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।