কোয়েলের ডিমে মুরগির ডিমের পনেরো গুণ বেশি আছে যে জিনিস
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৪:৫২ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: কোয়েলের ডিম পুষ্টিগুণের দিক থেকে এগিয়ে আছে সবচেয়ে বেশি। মুরগির ডিম পৃথিবীতে বহুল অংশে প্রচলিত হলেও কোলেস্টেরলের কারণে অনেকেই খেতে পারেন না। এছাড়া মুরগির ডিমে আছে বাড়তি হৃদরোগের ঝুঁকি। একারণে দেশে কোয়েলের চাষ বাড়ছে এবং সেইসাথে বাড়ছে কোয়েলের ডিমের চাহিদা।
চিকিৎসকদের মতে কোয়েলের ডিম বিভিন্ন রোগ যেমন, পুরুষত্বহীনতা, কিডনী সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, রক্তস্বল্পতা, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের জন্য উপকারি বলে বিবেচিত।
১. মুরগির ডিমের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় কোয়েল ডিমে কোলেস্টেরল ১.৪% আর মুরগির ডিমে ৪% এবং প্রোটিনের পরিমান মুরগির ডিম থেকে প্রায় শতকরা ৭ ভাগ বেশি।
২. এই ডিমের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, এনজাইম এবং এমাইনো এসিড এমনভাবে বিন্যাসিত যে এই ডিম শরীরের সব ধরনের পুষ্টির অভাব পুরণ করে শরীরের কর্মদক্ষতা বাড়িয়ে দেয়।
৩. কোয়েলের ডিমে ভিটামিন বি-১ এর পরিমান মুরগির ডিম থেকে ছয়গুণ বেশি, আয়রন ও ফসফরাস পাঁচ গুণ বেশি, ভিটামিন বি-২ পনেরো গুণ বেশি।
৪. কোয়েলের ডিমে এমন কিছু উপাদান আছে যা শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে।
৫. বাচ্চাদের মানসিক, শারীরিক এবং বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করে থাকে কোয়েলের ডিম। দুর্বল বাচ্চা থেকে বৃদ্ধরা প্রতিদিন তিন চারটা করে কোয়েলের ডিম খেতে পারেন।
উল্লেখ্য, যেকোনো ডিম ফ্রেশ কিনা তা পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। পুরানো ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। ডিমের সতেজতা পরীক্ষার জন্য পানির মধ্যে ডিম রাখলে যদি সেটি ডুবে থাকে, তবে তা ফ্রেশ। আর যদি ভেসে ওঠে, তাহলে তা পুরানো।