জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন
জেনেভায় জাতিসংঘের অফিস চত্বরে সোমবার ৭ অক্টোবর ‘ক্রাইমস এগেইনস্ট হিউম্যানিটি ইন বাংলদেশ’ শীর্ষক একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সুইজারল্যাণ্ড আওয়ামী লীগ এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিগত দুই মাসে ড. ইউনুস ও আসিফ নজরুল রেজিমের নেতৃত্বে ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘন, কবি, সাহিত্যক, সাংবাদিক, লেখক ও ধর্ম নিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী হাজার হাজার আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদেরকে নৃশংস নির্যাতন ও হত্যার বিরুদ্ধে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী ১১ অক্টোবর পর্যন্ত মাসব্যাপী ৫৭তম জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সেশন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ইউরোপের ১২টি দেশ থেকে আগত দেড় শতাধিক বাঙালি ডায়াসপোরা জোরালো কন্ঠে ড. ইউনুস রেজিমের দুঃশাসন , ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘন ও নৃশংস নির্যাতনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আয়োজক সংঘটন সুইজারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জমাদার নজরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুইজারল্যান্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সর্বইউরোপীয় আওয়ামীলীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান। আলোচনায় ডঃ ইউনুস ও তার অসাংবিধানিক সরকারের প্রতি নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়ে প্রতিবাদী বক্তব্য দেন, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুক, রফিকউল্লাহ্, মহসীন, ইতালি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইকবাল, এ রব মিন্টু, ফ্রান্স আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ কাসেম, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন কয়েস, জার্মান আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস চৌধুরী, স্পেন আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এস আই রবিন, সাধারণ সম্পাদক রিজভী আলম, সুইডেন আওয়ামীলীগের মন্জুরুল হাসান, ডেনমার্ক আওয়ামীলীগের সভাপতি খোকন মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, ফিনল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সালেহ আহমেদ সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম, বেলজিয়াম আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রশীদ বুলু , সাধারণ সম্পাদক পলিন হোসেন, পোল্যান্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান নাসিম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামল, গ্রীস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হাওলাদার, সুইজারল্যান্ড আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযাদ্ধা তাজুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হারুন রশীদ বেপারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কারার কাউসার, বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি রুবেন আহমেদ সোহেল, সহসভাপতি জাহানারা বাশার, মশিউর রহমান সুমন, মোহাম্মদ আনিস, বিপুল তালুকদার, কাজী আবদুর রহিম, ইউসুফ ভুইয়া, স্বপন উল্ল্যাহ, যুগ্ন সম্পাদক মাসুম খান দুলাল, প্রচার সম্পাদক অয়ন জোনায়েদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক আবু নাঈম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন বডুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সসীম বডুয়া, সিনিয়র নেতা বাবুল সরকার, ইমরান খান মুরাদ, শাহ আলম ফারুক, পলাশ বডুয়া, অরুন বডুয়া, সুমন ভুইয়া, মাহবুব শেখ দুলু ও ব্লগার এক্টিভিস্ট অমি রহমান পিয়াল।
বক্তারা সকলে বাংলাদেশের চলমান সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় ডঃ ইউনুসকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অবৈধ বলে ঘোষণা দেন। বক্তারা তাদের গঠনমূলক ও প্রতিবাদী বক্তব্যে গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিগত দুই মাসে ড. ইউনুসের সক্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, জাহাংগীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ড, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবদুল্লা আল মাসুদ হত্যাকাণ্ড, ১২০০ অধিক শিক্ষক নির্যাতন, ইসলামী সুফিবাদের শত শত মাজার পুড়িয়ে দেয়া, মাজারে মানুষ হত্যা, বিশিস্ট লেখক, সাংবাদিক, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের দার্শনিক শাহরিয়ার কবির, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, প্রতিথযশা অনুসন্ধানী সাংবাদিক ফারজানা রুপা, সাংবাদিক সাকিল আহমেদ, শ্যামল দত্ত, মোজাম্মেল বাবু সহ অসংখ্য মানুষের বিরুদ্ধ শত শত হত্যা মামলা ও নির্বিচারে গ্রেফতার ও রিমান্ডে পাশবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানান।
মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ শীর্ষক বক্তব্যে সমাবেশের শীর্ষ উদ্যোক্তা, সুইজারল্যান্ডে সিভিল সোসাইটি অর্গানাইজেশন “ইন্ট্যান্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশের সভাপতি মানবাধিকার কর্মী “রহমান খলিলুর মামুন বলেন, ড. ইউনুস ও তার অবৈধ অসাংবিধানিক সরকারের দায়িত্বে বাংলাদেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান, পাহাড়ী আদিবাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । তিনি সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনকে অধিকতর নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য দাবী উত্থাপন করেন।—বিজ্ঞপ্তি