সাংবাদিক অজামিল চন্দ্র নাথের অকাল মৃত্যুতে ভার্চুয়াল স্মরণসভা
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:২৬:১৩ অপরাহ্ন
গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক অজামিল চন্দ্র নাথের মৃত্যতে এক স্মরণসভা ভার্চুয়ালী অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অজামিল চন্দ্র নাথকে একজন মানবহিতৈষী খাঁটি দেশপ্রেমিক এবং গোলাপগঞ্জের সাংবাদিকদের অভিভাবক হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার যুক্তরাজ্য সময় বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত স্মরণসভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন, উত্তর আমেরিকা প্রথম আলো সংস্করণের সম্পাদক, আইনজীবী ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী শেখ আখতারুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মঞ্জুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিম, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক জামাল উদ্দিন আহমদ, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবকণ্ঠের প্রাক্তন সম্পাদক দুলাল আহমেদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন দিলু, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ভূমি ও ভবন দাতা আনোয়ার শাহজাহান, পরিবেশবিদ আবদুল করিম কিম, সাপ্তাহিক সিলেটের তথ্য পত্রিকার প্রাক্তন সম্পাদক সৈয়দ নাদির আহমদ এবং গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাংবাদিক ইমরান আহমেদ।
স্মরণসভা পরিচালনা করেন, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও হাওয়া টিভি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহমুদুর রহমান শানুর।
সভায় অজামিল চন্দ্র নাথকে একজন সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষক, সমাজ সেবক হিসাবে উল্লেখ করে আলোচকবৃন্দ বলেন, অজামিল চন্দ্র নাথ সৃজনশীলতার চর্চা করে গোলাপগঞ্জে এক অন্যন্য অবদান রেখে গেছেন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি সমাজের উন্নয়ন কার্যক্রম, শিক্ষার উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখে গেছেন।
অজামিল চন্দ্র নাথ ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রেখেছেন। বিশেষ করে কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ইংরেজি শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক ভাবে চালু করতে প্রতিটি স্কুলের শিক্ষক, সমাজের বিত্তশালী ও জনপ্রতিনিধিদেরকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা পর্যালোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে ইংরেজি শিক্ষাকে জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে ইংরেজি শিক্ষাকে মূলধারার সাথে সংযোগ তৈরী করা। ইংরেজি শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দিয়ে জাতি গঠন করতে হবে। তখন সমাজ আরও এগিয়ে যাবে । তিনি সমাজের আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ছিলেন। তিনি গোলাপগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
অজামিল চন্দ্র নাথের অকালে চলে যাওয়া অনেক কষ্টের এবং বেদনাদায়ক উল্লেখ করে আলোচকরা আরো বলেন, গোলাপগঞ্জের প্রতিটি শ্রেনী পেশার মানুষের সংগে সাংবাদিক অজামিলের ছিল অত্যন্ত মধুর সম্পর্ক। তাঁর অকাল প্রয়াণে যে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা পুরন হবার নয়।
তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সাংবাদিক ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন, অজামিল চন্দ্র নাথের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য গোলাপগঞ্জের প্রবাসী সাংবাদিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
স্মরণসভায় সাংবাদিক আনোয়ার শাহজাহান গোলাপগঞ্জের সাংবাদিকদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতা, বিভিন্ন ট্রেনিং পরিচালনা করার জন্য প্রবাসী গোলাপগঞ্জের সাংবাদিকদের নিয়ে একটি কল্যাণমূলক ট্রাস্ট গঠন করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি বলেন
এ রকম ট্রাস্ট গঠন করলে অনেককে আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সহযোগিতা করা যাবে। বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকরা অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে বিভিন্ন সময় আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হন।
উপস্থিত সকলেই ইব্রাহিম চৌধুরী খোকন এবং আনোয়ার শাহজাহানের প্রস্তাব সমর্থন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন।
এ রকম ট্রাস্ট করলে অনেককে আর্থিকও সামাজিকভাবে সহযোগিতা করা যাবে। বিশেষ করে মফস্বল সাংবাদিকরা অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাংবাদিকতা করে থাকেন।
স্মরণসভায় গোলাপগঞ্জের উন্নয়ন, দুর্নীতি, স্বজন-প্রীতি, সমস্যা ও সম্ভবনা কথা সবসময় তুলে ধরার জন্য গোলাপগঞ্জের সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। আর এগুলো তুলে ধরলে অজামিল চন্দ্র নাথের কর্মকে সমাজে বাঁচিয়ে রাখার সম্ভব হবে।—বিজ্ঞপ্তি