১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে সহযোগিতা করব: সেনা প্রধান
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:৫৬:০০ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, দেশে চলমান সংস্কার সম্পন্ন করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকবেন। পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে তিনি সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনী প্রধান এসব কথা বলেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সেনাবাহিনীর হেডকোয়ার্টারে তার সক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়, যা মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ করে রয়টার্স।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘আমি তার (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) পাশে থাকব। যাই হোক না কেন। যাতে তিনি তার মিশন সম্পন্ন করতে পারেন।’
নির্বাচন অনুষ্ঠান সংক্রান্ত এক প্রশ্নে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি বলব যে, একটি সময়সীমার মাধ্যমে আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করা উচিত।’ সংস্কারের পর দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্রে উত্তরণ করা উচিত মন্তব্য করে তিনি ধৈর্য ধরার ওপর গুরুত্ব দেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সুসম্পর্ক আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তবে আমাদের ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
আলাপকালে পূর্বে বাংলাদেশের রাজনীতিতে সেনা হস্তক্ষেপ এবং ক্ষমতাগ্রহণের প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ ব্যাপারে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনৈতিকভাবে হস্তক্ষেপ করবে না। আমি এমন কিছু করব না যা আমার বাহিনীর জন্য ক্ষতিকর হয়। আমি একজন পেশাদার সৈনিক। আমি আমার সেনাবাহিনীকে পেশাদার রাখতে চাই।’
রয়টার্স বলছে, দীর্ঘ মেয়াদে জেনারেল ওয়াকার সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে দূরে রাখতে চান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি সৈন্য রয়েছে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অন্যতম প্রধান সেনা প্রেরণকারী হচ্ছে বাংলাদেশ।
জেনারেল ওয়াকার বলেছেন, এটি কেবল তখনই ঘটতে পারে যখন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার কিছুটা ভারসাম্য থাকে, যেখানে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যায়।
সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিককে রাজনীতিতে লিপ্ত হওয়া উচিত নয়, বলেন বাংলাদেশ সেনাপ্রধান।