সাকিবকে দল থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নটা উঠেই গেল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩৯:১৯ অপরাহ্ন
অনুপম স্পোর্টস ডেস্ক: দলের সেরা বোলার, সেরা ব্যাটার, সেরা ফিল্ডার জাতীয় দলে বছরের পর বছর ধরে সাকিব আল হাসানের পরিচয়টা এমনই। অনেকদিন যাবত মাঠে সেই সাকিবের দেখা নেই। বয়স ৩৮ হয়ে গেছে, সেটাও নিশ্চয় একটা প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি সাকিবের পারফরম্যান্স মোটেও সুবিধার নয়।
বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দল থেকে বাদ পরার প্রশ্নও উঠে গেল। চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিনে ভারতের বিপক্ষে ২৮০ রানের বিশাল হার নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সংবাদ সম্মেলনে এলে বাংলাদেশী এক সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্নটা তোলেন- সাকিবকে কি বাদ দেওয়ার সময় এসেছে?
মাঠের পারফরম্যান্স ও মাঠের বাইরের নানা সমস্যার কারণে সাকিবকে আজ একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠে গেল। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে চেন্নাই টেস্ট হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হাসানকে এ প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হলো।
সাকিবের মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে এমন প্রশ্ন নিশ্চয় আশা করেননি নাজমুল। প্রশ্ন শুনে নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে বলেছেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্!’
‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’- বলেছেন শান্ত।
টেস্টের তৃতীয় দিনে আলোচনা উঠেছিল ইনজুরি নিয়ে খেলছেন সাকিব। সেই কারণেই নাকি ঠিকভাবে বোলিং করতে পারছেন না। বিসিবির পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, এই দাবি সঠিক নয়। নাজমুল হোসেন শান্তও সাকিবের ইনজুরির ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা, টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো। আমি কখনো নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’
নাজমুল পুরো দলের পরিস্থিতিটাই বিশ্লেষণের করার চেষ্টা করেছেন, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন নয় যে রান করছে বা রান করছে না। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’
পাকিস্তান সিরিজে বল হাতে মোটামুটি পারফর্ম করতে পারলেও ব্যাট হাতে ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে দুই বিভাগেই ব্যর্থ সাকিব। ভারতের প্রথম ইনিংসে ৫৮তম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসেছিলেন সাকিব। তার মতো অভিজ্ঞ একজনের এতো পরে বোলিং করতে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। দুই ইনিংস মিলিয়ে সাকিব ওভারপ্রতি সাড়ে ৬ করে ১২৯ রান খরচ করেও উইকেটশূন্য। সাকিবের এমন দিন আগে আসেনি কখনো।