যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৮:৩৬ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এখনও ৪৩ দিন বাকি থাকতেই নির্বাচনী লড়াই ইতোমধ্যেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে আগাম ভোটগ্রহণ (early voting) শুরু হয়েছে, যেখানে ভোটাররা সরাসরি ভোট দিচ্ছেন। ভার্জিনিয়া, সাউথ ডাকোটা ও মিনেসোটার মতো অঙ্গরাজ্যের ভোটাররা ইতোমধ্যে নিজেদের মূল্যবান ভোট প্রদান শুরু করেছেন। আগামী ৫ নভেম্বরের চূড়ান্ত নির্বাচনের আগে এই আগাম ভোট দেশটির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
আগাম ভোট শুরু হলেও মূল লড়াইটা হচ্ছে দুই প্রধান প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। তাদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস স্পষ্ট। বিভিন্ন রাজ্যে বিশেষ করে দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোতে প্রচারাভিযানগুলো পুরোদমে চলছে। এ লড়াইয়ে যারা প্রথমে ভোট দিয়েছেন, তারা নানা মত প্রকাশ করছেন।
৫৬ বছর বয়সী ভোটার টম কিলকেনি, তার স্ত্রীসহ ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনে ভোট দিতে আসেন। আগাম ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই মানুষ বুঝুক যে আমরা ভোট দেওয়ার গুরুত্ব উপলব্ধি করেছি।’ টমের স্ত্রী মিশেলও বলেন, ‘আমরা ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করতে আগেভাগেই ভোট দিলাম।’
কিন্তু ফেয়ারফ্যাক্সে একজন রিপাবলিকান ভোটার আর্থার স্টুয়ার্ট বলেন, ট্রাম্পের নেতৃত্বে অর্থনীতি চাঙা হয়েছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, ট্রাম্প এ উন্নতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগাম ভোট দিয়ে নিশ্চিত করতে চাচ্ছি, যেন এবার কোনো জালিয়াতি না হয়।’
শুক্রবার আটলান্টায় নারীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি নির্বাচনী সমাবেশে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন। গর্ভপাত ইস্যুতে ট্রাম্প এবং তার দলকে ‘ভণ্ডামি’ করার অভিযোগ তোলেন তিনি। কমলার আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। কমলার প্রচার অভিযানে ট্রাম্পের চেয়ে তিন গুণ বেশি খরচ করা হয়েছে। আগস্ট মাসেই কমলার প্রচারণায় ১৭ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে, যেখানে ট্রাম্প খরচ করেছেন ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। এছাড়া কমলার প্রচারশিবির গত মাসে ২৩ কোটি মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে, আর ট্রাম্প সংগ্রহ করেছেন ১৩ কোটি ডলার। এই বিশাল তহবিল ব্যবধানও লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন নির্বাচনের এই উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায়, দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রচারশিবির নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করছে। ভোটারদের মনোভাবও ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে, এবং নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই এ প্রতিযোগিতা আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠছে।