সিলেট: বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯:১৭:৩৮ অপরাহ্ন
বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটের চার উপজেলায় বজ্রপাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর জেলার জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে জৈন্তাপুর, কানাইঘাটে দুজন করে চারজন এবং গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জে একজন করে মোট দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলায় পৃথক স্থানে দুজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন—উপজেলার নয়াগ্রাম আগফৌদ গ্রামের নুরুল হকের ছেলে নাহিদ আহমদ (১৭) ও ববরবন্দ গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান (৪৫)।
আব্দুল মান্নান মাঠে কৃষি কাজ করছিলেন। দুপর সাড়ে ১২টার দিকে বজ্রপাতে মাঠেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আর নাহিদ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। নদীর পাড়ে থাকাকালীন বজ্রপাত তাঁর ওপরে পড়লে তিনিও ঘটনাস্থলে মারা যান।
বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম বলেন, তাদের লাশ সুরতহাল করে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ও বজ্রপাতে মারা যাওয়ার খবর পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারগুলোর তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বজ্র বৃষ্টি চলাকালে সবাইকে বাড়তি নিরাপত্তা অবলম্বন করে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে কানাইঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন। আজ শনিবার দুপুরে তাঁরা মারা যান।
নিহতরা হলেন—উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ ইউনিয়নের কেরকেরি গ্রামের আব্দুল মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (৩০) ও পৌরসভার দুর্লভপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে নুর উদ্দিন (৫৭)।
নুর উদ্দিন বাড়ির পাশের নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান। এ সময় তার সঙ্গে আরও ৩০—৪০ জন সেখানে গিয়েছিলেন। বজ্রপাতে সেখানে থাকা আরও ৪ জন আহত হয়েছেন। রাত ৯টার দিকে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
আর কালা মিয়া বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পথে তিনি বজ্রপাতে মারা যান। এশার নামাজের পর তাঁর লাশ দাফন করা হবে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার। তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো পাইনি।’
এদিকে গোয়াইনঘাটে বজ্রপাতে মারা যাওয়া গৃহবধূর নাম রোকশানা বেগম (৪৭)। আজ শনিবার দুপুরে নিজ বসতঘরে এ ঘটনা ঘটে। জাফলং ইউনিয়নের ভিত্রিখেল হাওর গ্রামের আ. রাজ্জাকের স্ত্রী তিনি।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারকে দাফন-কাফন ও আনুষঙ্গিক খরচ নির্বাহের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে অগ্রীম সরকারি আর্থিক সহায়তা হিসেবে ২০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে নিজামুল (২১) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ দুপুরে উপজেলার ইছাকলস ইউনিয়নের পুটামারা (পশ্চিম পাড়া) গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বেলা ২টার দিকে নিজামুল বাড়ির পাশের হালছাবড়া হাওর থেকে হাঁস তাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান জানান, লাশ ওসমানীতে রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।