এশিয়ায় চীনকে ঠেকাতে আমেরিকার চৈনিক কৌশল
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:২৫:৪৬ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় চীনের আধিপত্য কমাতে এবং নিজেদের বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করতে এবার নতুন কৌশলে হাঁটছে আমেরিকা। জাহাজবিরোধী অস্ত্র যাতে সহজে পাওয়া যায় এবং তা যেন প্রচুর পরিমাণে এক জায়গায় থাকে, সেজন্য এক জায়গায় জমা করে অস্ত্রাগার বানানোর চিন্তা করছে দেশটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
ইউক্রেনে রুশ হামলার পর থেকেই মূলত নতুন এই দর্শনের দিকে ঝুঁকেছে আমেরিকা। এতে তারা ভাবছে, কীভাবে কম খরচে বেশি অস্ত্র পাওয়া যায়। দেশটির একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী বলেন, চীনকে টেক্কা দিতে চীনের মতোই হাঁটতে চাইছে আমেরিকা। এ জন্য কম দামে পাওয়া যাবে এমন অস্ত্র প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট নামের থিংক ট্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইউআন গ্রাহাম বলেন, চীন এখন এমন সব জাহাজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমাহার করছে, যা দ্রুত আক্রমণ করতে পারে। এমনকি এগুলো সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায়, খরচও কম।
তবে এ ব্যাপারে দুই দেশের প্রতিরক্ষা দপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হলে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর মধ্যেই কম খরচে বানানো যায় এমন বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে আমেরিকা। এটি খুব দ্রুম চলমান বস্তুকে শনাক্ত করতে পারে। এমন হাজারো বোমা চাইছেন আমেরিকার সামরিক বাহিনীর ইন্দো-প্যাসিফিকের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। এই বোমার নাম কুইকসিঙ্ক। এর আগেই চীন জাহাজবিরোধী অস্ত্র বানিয়ে রেখেছে।
এ বছর এশিয়ায় বেশ জোরেশোরেই নেমেছে মার্কিন প্রশাসন। কুইকসিঙ্ক নামের এই বিশেষ জাহাজবিরোধী বোমা ছাড়াও বেশকিছু সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে তারা। এর মধ্যে গত এপ্রিলে তারা এশিয়ায় বসায় নতুন টাইফুন মোবাইল মিসাইল ব্যাটারি। এটি খুব দ্রুত সমুদ্রযানকে টার্গেট করতে পারে। বানাতেও এত বেশি খরচ হয়নি। এই সমরাস্ত্র বসানো হয় ফিলিপাইনসে।
এশিয়ার জন্য আগামী ৫ বছরে ৮ শতাধিক এসএম-সিক্স ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে চাইছে আমেরিকা। যদিও এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কয়েক হাজার তোমাহক এবং তারও বেশি জেডিএএম ক্ষেপণাস্ত্র বানানো শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ান স্ট্র্যাটেজিক পলিসি ইনস্টিটিউট নামের থিংক ট্যাংকের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইউআন গ্রাহাম বলেন, ‘চীনের খেলাটা হচ্ছে, পশ্চিম প্যাসিফিকে আমেরিকার নৌবাহিনীকে এগিয়ে যেতে না দেওয়া। এ কারণে আমেরিকাও পরিকল্পনায় নতুনত্ব আনতে চাইছে।’