বিষাক্ত পদার্থ বের করে ঘাম, আরও যা উপকার
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২:২১:২৮ অপরাহ্ন
অনপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: সাধারণত বিরক্তিকর বিষয় ঘাম। যা থেকে হয় দুর্গন্ধ শরীরে। তবু গরমে ঘামেন না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আপনি হয়তো ভাবছেন। আহা, ঘাম না হলে কতো ভালো হতো!
কিন্তু অনেক কিছুর উপকার প্রত্যক্ষ ভাবে দেখা না গেলেও পরোক্ষভাবে তার অনেক উপকারিতা রয়েছে। ঘামও ঠিক তাই। এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
ঘামের স্বাস্থ্য উপকারিতা—
বিষাক্ত পদার্থ বের করে: ঘামের সবচেয়ে ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা হল তা দেহ থেকে বিষাক্ত পদার্থ দেহের বাইরে বের করে দেয়। যেমন, অতিরিক্ত পরিমাণ লবণ, কোলেস্টেরল ও অ্যালকোহল। গবেষকেরা এরই মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন যে শরীরের ৩০ শতাংশ অপদ্রব্য নিঃসৃত হয় ঘামের মাধ্যমে।
স্বাভাবিক তাপমাত্রা রাখে: ঘাম শরিরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বজায় রাখে। ব্যায়াম বা অন্যান্য কায়িক পরিশ্রমের সময় আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায় অনেক বেশি। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফল হিসেবে আমাদের ঘর্মগ্রন্থি ঘাম তৈরি করে। ফলে শরীর তার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরে গিয়ে আপনাকে আবার শীতল অবস্থায় ফিরে আসে।
রক্ত সঞ্চালন করে: ঘাম হওয়ার মাধ্যমে হৃদযন্ত্রেরও উন্নতি সাধিত হতে পারে। দেহ যখন তাপের সাথে ঘাম উৎপন্ন করে তখন হৃদযন্ত্র দেহাভ্যন্তরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। নিয়মিত ঘাম তাই শরীরের জন্যে দীর্ঘমেয়াদী উপকার বয়ে আনতে পারে।
ত্বক ভালো রাখে: ঘাম উপকার বয়ে আনতে পারে সৌন্দর্য সচেতন নর-নারীর জন্যেও। ঘাম এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা মানুষের ত্বকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করে যাওয়া ক্ষতিকর অণুজীবকে দমন করে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখে। তাছাড়া ঘাম ত্বকের বদ্ধ ছিদ্রপথগুলো উন্মুক্ত করে দেয় যা ত্বকের নির্মলতায় ও গঠনে ভিন্ন মাত্রা দেয়। অতিরিক্ত ঘাম তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যাওয়ার লক্ষণগুলোকে ধীর করে দেয় আর ত্বকের ক্ষতির প্রভাবকেও কমিয়ে দেয়।
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে: ঘাম উপকার বয়ে আনতে পারে সৌন্দর্য সচেতন নর-নারীর জন্যেও। ঘাম এক ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে যা মানুষের ত্বকে প্রতিনিয়ত আক্রমণ করে যাওয়া ক্ষতিকর অণুজীবকে দমন করে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ধরে রাখে।
ওজন কমায় দেহের: যারা মুটিয়ে যাচ্ছেন তারাও নিয়মিতভাবে একটু ঘেমে নেবার কথা ভেবে দেখতে পারেন। কারণ শরীরে জমে থাকা চর্বি শরীরে উৎপন্ন তাপের ফলে গলে গিয়ে পানিতে দ্রবণীয় যৌগে পরিণত হয় যা ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।