ব্যাংকে রাখা টাকা ফেরত পাবেন, দুশ্চিন্তার কিছু নেই: গভর্নর
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৫:৩৮ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: দেশের ব্যাংকে জমা রাখা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। সব আমানতকারীর পাশে সরকার আছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) গভর্নর এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি ব্যাংক খাতের জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে টাস্কফোর্স গঠনের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, দুর্বল হয়ে পড়া ১০টি ব্যাংককে নিবিড় তদারকিতে রাখা হচ্ছে। ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তাদের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সফল না হলে এসব ব্যাংককে একীভূত করে দেওয়া হবে।
বিগত এক মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক ১০টি ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করলেও তবে ব্যাংকিং কমিশন গঠিত হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, সরকার ব্যাংকিং কমিশন গঠনের বদলে টাস্কফোর্স গঠনের পথে হাঁটছে। একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠনের মাধ্যমে সংস্কার করতে চায় বাংলাদেশ ব্যাংক।
আহসান এইচ মনসুর আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। একটি কাজ করবে ব্যাংকিং খাত নিয়ে। আপাতত বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ১০টি ব্যাংক নিয়ে কাজ করছে। তবে পরে সব ব্যাংক নিয়েই নিরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা হবে। এটা ধাপে ধাপে করা হবে। দ্বিতীয় টাস্কফোর্সটি হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে। ব্যাংক খাতে বাংলাদেশ ব্যাংকও যথাযথ তদারকি করতে পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন সেটি করতে পারে, সে জন্য টাস্কফোর্স কাজ করবে। দেশি-বিদেশি সংস্থার মাধ্যমে ব্যাংকের ‘ফরেনসিক অডিট’ করা হবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক খাতের ওপর আস্থা বাড়ানো তাদের অন্যতম লক্ষ্য। এ জন্য ব্যাংকের আমানত বিমার আওতা হিসাবপ্রতি দুই লাখ টাকা করা হয়েছে। ফলে কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হলে ৯৪ দশমিক ৬ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারী পুরো টাকা ফেরত পাবেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে কোথাও আমানতের ওপর শতভাগ বিমা সুবিধা নেই। বাংলাদেশে বিমার ‘প্রিমিয়াম’ (নিশ্চয়তার বিপরীতে বিমা প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া অর্থ) সবচেয়ে কম। হার শূন্য দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার বিপরীতে মাত্র ৮ পয়সা। ভারতে যা শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ। পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ।
আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো সক্ষমতা ১০টি ব্যাংকের নেই উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, এসব ব্যাংকের আমানতকারীদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করা হচ্ছে। বিফল হলে প্রয়োজনে একীভূত করে দেওয়া হবে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই সব প্রতিষ্ঠান চালু থাক। দেশের উৎপাদন-কর্মসংস্থান বাধাগ্রস্ত হবে এমন কোনো উদ্যোগ কেন্দ্রীয় ব্যাংক নেবে না।’