ডুম্বুর বাঁধ খুলে যাওয়ার যে কারণ জানালেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ৯:০৩:৩৪ অপরাহ্ন
অনুপম আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ত্রিপুরা রাজ্যের গোমতি জেলার ডুম্বুর পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের পানি ছাড়া নিয়ে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই, বাংলাদেশের কোনো জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কর্মকর্তা বৈধ পথে গেলে প্রকল্প ঘুরিয়ে দেখানো হবে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা জানান ত্রিপুরা সরকারের বিদ্যুৎ দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ।
মন্ত্রী বলেন, ডুম্বুর পানিবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধের পানি যখন ৯৪ মিটারের বেশি হয়ে যায়, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত পানি গেট খুলে বেরিয়ে যায়। আবার ৯৪ মিটারের নিচে পানি নেমে গেলে গেট বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের কিছু মানুষ ভুল বুঝেছেন এবং বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভারতবর্ষ সবসময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলতে চায়। ভারত সরকার বা ত্রিপুরা সরকারের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করার।
তিনি আরও বলেন, যদি এমন হতো, তবে ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে যে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হচ্ছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হতো। কারণ বাংলাদেশের কাছ থেকে ত্রিপুরা বিদ্যুৎ বাবদ বকেয়া পাবে ১৮০ কোটি রুপি। এরপরও নিয়মিতভাবে সেদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হচ্ছে।
তবে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিকেরা বলছেন, ত্রিপুরায় ভারী বৃষ্টির কারণে বাঁধের ৯৪ মিটারের বেশি পানি উঠার সম্ভাবনার কথাটি প্রতিবেশি বাংলাদেশকে আগেভাগে জানাতে পারতো ত্রিপুরা সরকার। তাতে গোমতি নদীর বাঁধ ভাঙ্গার বিপদ থেকে অনেকে সচেতন হতে পারতেন, ক্ষয়ক্ষতি কম হতো।