যে কারণে নিয়মিত ডিম খাবেন
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ১০ আগস্ট ২০২৪, ৪:৩২:৩৭ অপরাহ্ন
অনুপম স্বাস্থ্য ডেস্ক: ডিমে রয়েছে উচ্চমাত্রার প্রোটিন, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ডিম বেশ কার্যকরী। শরীর দুর্বল হলে সকালবেলার নাশতায় সিদ্ধ ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। ডিম অনেক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ একটি খাবার। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন ও প্রোটিনের ভালো উৎস।
ডিমের নানান স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এমন কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানা যাক—
মন শান্ত করে: ডিমে প্রচুর ট্রিপটোফেন থাকে, যা মানসিক চাপ কমাতে ভূমিকা রাখে। ট্রিপটোফেন মন শান্ত করে এবং শরীরে হরমোনের ব্যাঘাত কমায়। এ কারণে রাতে ডিম খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
শক্তি বাড়ে: দ্রুত শক্তি পেতে ডিম অনেক উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন বি, যা শরীরে বাড়তি শক্তি জোগায়। প্রতিদিন সকালের নাশতায় একটি করে সেদ্ধ ডিম, একটি ক্লান্তিহীন একটি দিনের সহায়ক।
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি: ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কার্যকরী।
পেশি মজবুত: সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় শেষে অনেকেই পেশি ব্যথায় ভোগেন। এ ক্ষেত্রে ডিম উপকারী। কারণ, ডিমে প্রচুর ভিটামিন ডি রয়েছে, যা পেশি মজবুত করে।
নখের যত্নে: তরুণীদের একটি অংশ নখ নিয়ে অনেক বেশি সচেতন। নখের যত্নে ডিম কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। কারণ, ডিমে রয়েছে সালফার। তাই নখের যত্নে ও নখ ভেঙে যাওয়া রোধে ডিমের ভূমিকা অন্যতম। এ ছাড়া ডিম নখ সাদা ও সুন্দর রাখতেও উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: অনেকেই ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভোগেন। তারা ডিম খেতে পারেন। কারণ, ডিমে রয়েছে জিংক, যা দেহের ইমিউনিটি সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
হাড় ও দাঁত মজবুতে: ডিমে থাকা ফসফরাস হাড় ও দাঁত মজবুতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই হাড় ও দাঁত মজবুত রাখতে ডিম খান।
প্রোটিনের ঘাটতি: ডিমে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা প্রোটিনের মূল উৎস। তাই প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে ডিম খান।
ভালো ঘুমের জন্য: ডিম মেলাটোনিনের বড় উৎস। ভালো ঘুমের জন্য বেশ সহায়ক। মেলাটোনিনের বড় ভূমিকা রয়েছে এতে। এটি স্নায়ু কোষের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরকে ঘুমাতে যাওয়ার সংকেত দেয়। মেলাটোনিন হলো এমন এক হরমোন যা শরীরের ঘড়ি সেট করে এবং ঘুম ভালো হতে বড় ভূমিকা রাখে।
শরীরে ভালো কোলেস্টেরল জমা হয়: ডিম হাড় এবং মস্তিষ্কের কোষগুলোর কার্যকারিতা উন্নত করে। রাতে ডিম খেলে তা শরীরে ভালো কোলেস্টেরল জমা হয় এবং সকালে সূর্যের সংস্পর্শে আসার সঙ্গে সঙ্গে শরীর তা থেকে ভিটামিন ডি তৈরি করতে শুরু করে।