অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
অনুপম নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম প্রকাশিত হয়েছে : ০৯ আগস্ট ২০২৪, ১০:০৩:২৬ অপরাহ্ন
অনুপম নিউজ ডেস্ক: ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের তিন দিনের মাথায় রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ১৩ জন উপদেষ্টা গতকাল৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শপথ গ্রহণ করেন। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাদের শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণের পর তারা কয়েকজনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিম্নরূপ—
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস: ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকার গঠন হয়েছে তা মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে। অরাজকতার বিষবাষ্প যে ছড়াবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে তা ব্যর্থ করবে। স্বাধীনতার সব অর্জন ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘অরাজকতার বিষবাষ্প এখন যে-ই ছড়াবে বিজয়ী ছাত্র-জনতাসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পূর্ণ শক্তি তাকে ব্যর্থ করে দেবে।’
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমাদের চ্যালেঞ্জটা অনেক বড়। যে ‘পশু শক্তি’র বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি, আমরা যেন সেই শক্তির মতো হয়ে না যাই। তাহলে আমাদের ছাত্র-জনতা যে অভাবনীয় একটা সুযোগ আমাদের জন্য তৈরি করে দিয়েছে, যেটা মহান, বলা যায় দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ; সেটার অর্জন ও মাহাত্ম্য ম্লান হয়ে যাবে। সেটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তাঁর পক্ষে যতটুকু দেওয়া সম্ভব ততটুকু দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। আরেক উপদেষ্টা মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক কতখানি সুন্দর করে গুছিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সেটিই তাদের বিবেচনায় থাকবে।
উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন: উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দেশে গত কয়েক দিনে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। সরকার এখন স্থিতিশীল পরিবেশ আনার বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করবে।
উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ: শপথ নেওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আরেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, একটা বিধ্বস্ত অবস্থায় সরকার গঠিত হয়েছে। সব দিক থেকেই দেশ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় আছে। এই পরিস্থিতি থেকে এগোনোর জন্য সরকারের সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি সরকারের জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন।’
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এবং গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণার (উবিনীগ) নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আখতার বলেছেন, সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। ফরিদা আখতার বলেন, এখনো আমরা সবাই এক সঙ্গে বসতে পারিনি। পরবর্তীতে বসে সব বিষয় ঠিক করা হবে। সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই।
উপদেষ্টা খালিদ হোসেন: তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নতুন দায়িত্ব পাওয়া আলেম উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন, একটি ক্রান্তিকাল পেরিয়ে দায়িত্ব নিয়েছি। এখন আমাদের মূল কাজ শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং ভুল বোঝাবুঝি নিরসন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা।
উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম: অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে একটা সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা। আমরা গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করবো। বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এই সরকার কাজ করবে। তার আগে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে অন্যান্য কাঠামোর সংস্কার প্রয়োজন। না হলে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হবে।